সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৩:১৪

কিউবায় কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্ব

রাউল কাস্ত্রোর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মিগুয়ের দিয়াজ কানেলই হচ্ছেন কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট।

দেশটির পার্লামেন্ট তাকে এ পদে মনোনীত করার পর কাস্ত্রো পরিবারের বাইরের নেতৃত্বে কিউবা কিভাবে পথ চলবে তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কয়েক যুগ পর এখন কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্ব আসছে। দিয়াজকে বলা হয়ে থাকে ৮৬ বছর বয়সী রাউলের ডান হাত।

২০০৮ সালে ভাই ফিদেল কাস্ত্রোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রাউল কাস্ত্রো। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কিউবার সম্পর্ক গড়ে তা এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দেশের ভেতরেও বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন এই প্রেসিডেন্ট।

রাউল কাস্ত্রোর জায়গায় কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া দিয়াজ বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। বৃহস্পতিবার কিউবার পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফল বা নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করবে।

বিবিসি বাংলা বলছে, কিউবায় বিপ্লবের সময়র প্রজন্ম এখন তার হাতে নেতৃত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন। রাউল কাস্ত্রো প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়লেও কিউবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে তাদের প্রভাব আগের মতই বহাল থাকবে।

মিগুয়েল দিয়াজ কানেল কিউবার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২০১৩ সালে। তার আগে পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে থাকলেও নিজেকে সেভাবে প্রকাশ করতেন না। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর খুবই কাছের মানুষ।

৫৭ বছর বয়সী দিয়াজ কানেল উদারপন্থী হিসেবেও পরিচিত। তার জন্ম ১৯৬০ সালে। এর এক বছর আগে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রো প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেন।

ক্যারিবীয় দেশটি নতুন নেতৃত্বে একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে আসবে, এমনটা ভাবতে চাননা বিশ্লেষকরা। তবে তারা মনে করেন, দেশ একদলীয় গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে পারে।

ফিদেল কাস্ত্রো এখন অতীত। আর রাউল কাস্ত্রো অবসরে গেলেন। এই পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে অনেকের শঙ্কা আছে। তবে নতুন নেতৃত্বের ওপর রাউল কাস্ত্রোর প্রভাব যে থাকবে, সেই আলোচনাও রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত