আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:৩০

ঐতিহাসিক বৈঠকে কিম-মুন

দীর্ঘ ৬৫ বছরের ব্যবধানে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছালেন কোনও উত্তর কোরীয় শীর্ষ নেতা। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ঐতিহাসিক এ সফরে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম।

দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল পানমুনজামে পৌঁছালে কিমকে স্বাগত জানান মুন জায়ে ইন। পরে দুইনেতা পানমুনজামের অস্ত্রনিরপেক্ষ এলাকায় স্থাপিত বিশেষ মঞ্চে যান। সেখানে তাদের গার্ড অব অনার জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সুসজ্জিত দল। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ কোরিয়ার পিস হাউসে আলোচনায় বসেন তারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ অবসানের ৬৫ বছর পর এবারই প্রথম কোনও উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রনায়ক আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় এলেন।

আড়ম্বরপূর্ণ এ বৈঠকের পুরো পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া আলোচনা চলবে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি পর্যন্ত। বিরতিতে দুইনেতা নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন। নিজ দেশে মধ্যাহ্নভোজনের পর বিকেলের দুইনেতা দুই কোরিয়ার মাটি ও পানি ব্যবহার করে পাইন গাছের চারা রোপণ করবেন।

শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে এই চারা লাগানোর পর দ্বিতীয় দফা আলোচনায় বসবেন দুইনেতা। সম্ভাব্য চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলোচনা। এরপর দুইনেতা দক্ষিণ কোরিয়ায় রাতের খাবারে অংশ নেওয়ার আগে যৌথবিবৃতি দেবেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজিত এই রাতের খাবারের মেন্যু আগেই জানানো হয়েছে। খাবারে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পছন্দের খাবার সুইস পটেটো ডিশ রোসটো থাকবে। পড়াশোনার জন্য সুইজারল্যান্ডে থাকার সময়ে এই খাবার পছন্দ করতেন তিনি। এছাড়াও আয়োজনে থাকবে উত্তর কোরিয়ার বিখ্যাত ঠাণ্ডা নুডলস ও পানীয়।

রাতের খাবারের পর নিজদেশে ফিরে যাওয়ার আগে দুইদেশের প্রতিনিধিরা এক সাথে বসে ‘স্প্রিং অব ওয়ান’ নামে ভিডিওচিত্র দেখবেন। বিবিসিচারা রোপণে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাটি ও পানি ব্যবহার করা হবে।

এরপর দুই শীর্ষ নেতা আরো একবার আলোচনায় বসবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তবে চুক্তির বিষয়বস্তুর কী হবে তা এখনও জানা যায়নি। রাতে দক্ষিণ কোরিও অংশে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের ব্রীফ করবেন এই দুই রাষ্ট্রনায়ক।

এদিকে কিমের দক্ষিণ কোরিয়া আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাক্ষাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক পটভূমি হিসেবে কাজ করবে এই বৈঠক।

তথ্য সূত্র: বিবিসি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত