০১ মে, ২০১৮ ০২:০২
ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন সম্পর্কিত সরকারি নীতি নিয়ে কেলেঙ্কারির মুখে পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাজিদ জাভিদ। জাভিদ পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত; এবং তার বাবা ষাটের দশকে পাকিস্তান থেকে বৃটেনে গিয়ে প্রথমে কাপড়ের কারখানায় শ্রমিক হন এবং এরপরে বাস চালাতেন।
বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার রাতে পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড। পরদিনই তার জায়গায় সাজিদ জাভিদের নিয়োগ বিস্ময় তৈরি করেছে।
শুধু প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতই নয়, এই প্রথম কোনো মুসলিম ব্রিটেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।
প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীর সন্তান হয়ে সাজিদ জাভিদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হবে অভিবাসন নিয়ে ব্রিটেনের জনগণের উদ্বেগ সামলানো।
তথাকথিত 'উইন্ডরাশ' কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্রিটেনের বর্তমান কনজারভেটিভ সরকার সম্প্রতি প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে।
প্রধানত ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৫০ এবং ৬০ দশকে আসা অভিবাসী, যাদেরকে উইন্ডরাশ প্রজন্ম বলে অভিহিত করা হয় - তাদের অনেককে হঠাৎ করে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে ঘোষণার কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে।
পত্রপত্রিকায় প্রতিদিন খবর বেরুতে থাকে - এমনকি ব্রিটেনে জন্ম নিয়েও উইন্ডরাশ প্রজন্মের সন্তানদের অনেককেই হঠাৎ করে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে ঘোষণা করায় অনেকে চাকরি হারান, চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
অনেককে তাদের পিতৃপুরুষের দেশে ফিরেও যেতে হয়েছে।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে ফাঁস হয়ে পড়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা নিয়ে সরকারের গোপন টার্গেটের অন্যায় বলি হয়েছেন বহু পুরনো অনেক ক্যারিবীয় অভিবাসী এবং তাদের সন্তানরা।
এ নিয়ে সরকারের ভেতরেও ক্ষোভ তৈরি হয়।
সাজিদ জাভিদ, যিনি গতকাল পর্যন্ত কম্যুনিটিজ এবং আবাসন মন্ত্রী ছিলেন, তিনিও অভিবাসন সম্পর্কিত ঐ কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।
লন্ডনের দৈনিক টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, "তিনি নিজেও উইন্ডরাশ প্রজন্মের সন্তান, তার বাবা-মাকেও হয়তো রাতারাতি অবৈধ হয়ে যেতে হতো।"
পত্রিকায় সরকারের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করলেও তাকেই প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে অভিবাসন কেলেঙ্কারি সামলানোর দায়িত্ব দিলেন।
আপনার মন্তব্য