আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ মে, ২০১৮ ১৪:১৫

নিজেকে ‘বিষ্ণুর অবতার’ দাবী করলেন প্রকৌশলী

নিজেকে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার বলে দাবী করছেন ভারতের গুজরাটের এক সরকারি প্রকৌশলী ।  আট মাসে মাত্র ১৬ দিনে অফিসে উপস্থিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি এ দাবী করেন।

সর্দার সরোভর পুনর্বাসন এজেন্সির (এসএসপিএ) ভাদদারা কার্যালয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রমেশচন্দ্র ফিফাকে অফিসে অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে নোটিশ দেওয়া হলে তিনি দাবী করেন, বিশ্বের বিবেক জাগ্রত করতে তিনি ‘ধ্যান’ করছেন। এ কারণে তিনি অফিসে উপস্থিত হতে পারছেন না।

এভাবে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকা একজন গেজেটেড কর্মকর্তার আচরণের সঙ্গে মানানসই নয়। তার অনুপস্থিতিতে এজেন্সির কাজে ক্ষতি হচ্ছে বলে এসএসপিএর কারণ দর্শাও নোটিশে বলা হয়।

নোটিশের জবাবে রমেশচন্দ্র বলেন, “বিশ্বের বিবেক জাগ্রত করতে আমি বাড়িতে বসে পঞ্চম মাত্রায় প্রবেশ করে ধ্যান করছি। অফিসে বসে আমি এভাবে ধ্যান করতে পারব না।”

তার ধ্যানের ফলে গত ১৯ বছর ধরে ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে বলেও দাবি করেন রমেশচন্দ্র।

তিনি বলেন, “শুধুমাত্র আমি কল্কি অবতার হওয়ার কারণে ভারতে ভালো বৃষ্টি হচ্ছে। দেশকে খরার হাত থেকে বাঁচাতে আমাকে দিয়ে অফিসে বসিয়ে স্থূল কাজ করিয়ে সময় পার করায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত হবে কিনা সেটা এজেন্সিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

এসএসপিএর কারণ দর্শাও নোটিশ ও রমেশচন্দ্রের জবাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

রাজকোটে শুক্রবার (১৮ মে) সাংবাদিকদের রমেশচন্দ্র বলেন, “এমনকি যদি আপনি বিশ্বাস না-ও করেন, আমি আসলে লর্ড বিষ্ণুর দশম অবতার। আগামীতে আমি এটা প্রমাণ করব। ২০১০ সালে আমার কার্যালয়ে বসেই আমি বুঝতে পারি যে আমি কল্কি অবতার। তারপর থেকেই আমি আমার মধ্যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা বুঝতে পারি।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত