সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১১:৪১

কাশ্মীরে সংঘর্ষে ৪ ভারতীয় সেনা নিহত

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে এক মেজরসহ চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। রোববার রাতে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ এখনও চলছে।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবারের আত্মঘাতী হামলার স্থান থেকে ৬-৮ কিলোমিটার দূরে পিঙ্গলানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেনা-জঙ্গিদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক স্থানীয় বাসিন্দাও।

সেনা সূত্রের খবর, একটি বাড়িতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে আছে, এমন খবর পেয়ে রোববার গভীর রাতে বাড়িটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। এ সময় পালানোর পথ না পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে বেপরোয়া জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে মারাত্মক আহত হন ৪ সেনা সদস্য। তাদের মধ্যে ছিলেন এক মেজরও। পরে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বাদামিবাগের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তাদের মৃত্যু হয়।

জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুলওয়ামা হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দারের প্রশিক্ষক রশিদ গাজি এখনও ওই এলাকাতেই লুকিয়ে রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা। হামলার পর সেনা তৎপরতায় তিনি পালাতে পারেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার হামলার পর থেকেই ওই এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপুরা এলাকায় বোমা হামলায় দেশটির সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) অন্তত ৪০ সদস্য নিহত হন।

জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ।

পুলিশ জানিয়েছে, সিআরপিএফ’র গাড়িবহর পুলওয়ামায় শ্রীনগর-অনন্তনাগ মহাসড়কের ওপর দিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরে যাচ্ছিল। এসময় গাড়িবহরে ধাক্কা দেয় বিস্ফোরকভর্তি গাড়িটি।

সিআরপিএফ'র ৭৮টি গাড়িতে প্রায় আড়াই হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। যে বাসটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল তাতে ছিলেন ৩৯ জন। ১৯৮৯ সালের পর এটিই কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত