ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ০১:১৩

ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জকে পালানোর সু্যোগ দিতে চেয়েছিল

ইকুয়েডর দূতাবাসের ফাঁস হওয়া গোপন নথি থেকে জানা যায়, লন্ডনের কেনসিংটনের সেই ফ্লাট থেকে তাকে ছদ্মবেশে পালিয়ে যাওয়ার সু্যোগ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করেছিল সেই দূতাবাসের কর্তৃপক্ষ। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ তিন বছর ধরে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করে তাদের চক্ষুশূলে পরিণত অ্যাসাঞ্জ তিন বছর আগে লন্ডন পুলিশের হাতে গ্রেফতার এড়াতে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

সুইডেনে তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে সেই আশঙ্কায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাসাঞ্জের বিভিন্ন আচরণে বিরক্ত ইকুয়েডরের দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাইছিলেন।

সম্ভাব্য পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দূতাবাসের পরিকল্পনা গুলোর মধ্যে ছিল, ছদ্মবেশে তাকে দূতাবাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারে করে যুক্তরাজ্যের সীমানা পার করে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল।

এ ছাড়া বড় বাক্সের মধ্যে করে দূতাবাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথাও বিবেচনা করে দেখেছে তারা। কিন্তু দুতাবাসের বাইরে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের অপেক্ষায় থাকা ব্রিটিশ পুলিশের কাছে হিট স্ক্যানার থাকায় এই সম্ভাবনা বাদ দিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, অ্যাসাঞ্জ এর উপর নজরদারি করতে গিয়ে শুধু গত এপ্রিল মাসে ১১ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত