আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ অক্টোবর, ২০১৯ ১৮:৫৩

অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রের বিরল প্রতিবাদ

সরকারি গোপনীয়তা রক্ষা ও প্রেসের স্বাধীনতা বৃদ্ধির জন্য প্রথম পাতা ফাঁকা রেখে একত্রিত হয়ে বিরল প্রতিবাদ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ছোট বড় অসংখ্য পত্রপত্রিকা। সোমবারের (২১ অক্টোবর) ওই প্রতিবাদে সমর্থন জানিয়েছে রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলো। সিডনি মর্নিং

হেরাল্ড, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য এইজ, অস্ট্রেলিয়ান ফিনান্সিয়াল রিভিউ সহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিকগুলোসহ আঞ্চলিক মাস্টহেডস নিউজস্ট্যান্ডগুলো কালো করে দেয়া হয়। সেখানে লাল রং দিয়ে ‘সিক্রেট’ লেখা দেখা যায়। এর ফলে প্রকাশিত সংবাদপত্রে কি নিউজ ছাপানো হয়েছে তা বোঝার কোনো উপায় নেয়। জাতীয় পর্যায়ে একটি নিরাপত্তামূলক আইনের প্রতিবাদে এমনটা করা হয়েছে। ইয়ন, এসবিএস নিউজ

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধেই সাংবাদিকদের এ প্রতিবাদ। সাংবাদিকরা বলছে, এ আইনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় ‘গোপনীয়তার সংস্কৃতি’ চালু করা হয়েছে।

মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড আর্টস অ্যালায়েন্স ইউনিয়নের প্রধান পল মারফি বলেছেন, এই আইনি বিধানগুলোর মধ্যে যে গোপনীয়তার সংস্কৃতি রয়েছে তা অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেকের জানার অধিকারকে সীমাবদ্ধ করে। প্রতিবাদের জন্য ‘রাইট টু নো কোয়ালিশন’ বা জানার অধিকার বিষয়ক জোট প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

সাংবাদিকরা বলছেন, এই আইনের মাধ্যমে তাদের রিপোর্টিংয়ের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ায় গোপনীয়তার একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, দেশটির গণতন্ত্রের জন্য সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা উচিত।

গত জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) অফিস এবং নিউজ করপোরেশন অস্ট্রেলিয়ার এক সাংবাদিকের বাসভবন পুলিশ ঘেরাও করলে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, হুইসেলব্লোয়ারের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য প্রচারের সন্দেহ করে সেখানে ঘেরাও করা হয়। ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন গুপ্তচর নজরদারি করে বলে অভিযোগ আনা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত