সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০১৬ ২১:৩১

মুখের কথা বেরিয়ে গেলে ফিরে আসে না : তথ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী

টিআর-কাবিখা প্রকল্পে চুরির জন্য সংসদ সদস্যদের (এমপি) দায়ী করে তথ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'তিনি আমাদের সবাইকে চোর বানিয়েছেন, নিজেও চোর সেজেছেন।'

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হলে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, টিআর-কাবিখা নিয়ে তিনি এভাবে কথা বলতে চাননি। কীভাবে তিনি কথাগুলো বলেছেন, তাও মন্ত্রিসভায় তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তির ছেড়ে দিলে এবং মুখের কথা বেরিয়ে গেলে ফিরে আসে না।'

মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মন্ত্রিসভার নিয়মিত এজেন্ডা শেষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের লোগোসংবলিত একটি খাম মন্ত্রিসভার সদস্যদের টেবিলে পৌঁছে দেন তথ্যমন্ত্রী। ওই খামে 'তথ্যমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ' শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি ছিল। এ চিঠি মন্ত্রিসভায় পড়ে শুনানোর পাশাপাশি নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি সংবাদ মাধ্যমে পাঠাবেন বলেও মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন।

এসময় দুঃখ প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'টিআর-কাবিখা প্রসঙ্গে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা ভুল বোঝাবুঝি হলে বা কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে তা অনভিপ্রেত।'

তিনি বলেন, 'আমি নিজে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদ সদস্যবৃন্দসহ সকল জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকভাবে সম্মান করি। এই সম্মান অক্ষুণ্ন রয়েছে। তারপরও কেউ যদি অনভিপ্রেতভাবে দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।'

এ ঘটনায় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, 'এভাবে বলিনি-এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। যখন রেকর্ড দেখাবে, তখন কী বলবেন?'

শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, '২০০৯ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এক ছটাক গম খেয়েছি- এ কথা কেউ প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করব। এভাবে সবাইকে চোর বানানো ঠিক হয়নি। এ কথা বলে তিনি (তথ্যমন্ত্রী) সবাইকে ডুবিয়ে দিয়েছেন।'

প্রসঙ্গত, রোববার ঢাকায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের এক সম্মেলনের টিআর-কাবিখার অর্থ আত্মসাত নিয়ে এমপিরাদের সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তার মতে, টিআর-কাবিখা'র অর্থের অর্ধেকই যায় সংসদ সদস্যদের পকেটে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত