ডেস্ক রিপোর্ট

৩০ মে, ২০১৫ ০২:২৪

তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি ইস্যুতে বোমা ফাটালো আনন্দবাজার পত্রিকা

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকা আসছেন, কী আসছেন না এ নিয়ে অনেক আলোচনা ছিল। শেষ পর্যন্ত মমতা রাজি হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরসঙ্গী হতে। আলোচনা ছিল এই সফরে স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এমন আভাষ দিয়েছিলেন কিন্তু ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা রীতিমত বোমা ফাটালো; তারা জানিয়েছে মোদীর ঢাকা সফরে তিস্তার প্রসঙ্গ বাদ দেওয়ার শর্তেই ঢাকা আসছেন মমতা।

শুক্রবার (২৯ মে) কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আসলে কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে সঠিক তথ্যের চেয়ে গুঞ্জন অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়- দিল্লির পক্ষ থেকে মমতাকে আশ্বস্ত করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর এবারের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কিছু হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু এই চুক্তি নিয়ে একমত নন, সে কারণে শুধু বাংলাদেশের কথায় চুক্তি করা হবে না।

একই দিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁর আগের বক্তব্য অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি এর আগে কখনোই বলেননি, প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরেই তিস্তা চুক্তি হয়ে যাবে। বরং তিনি বলতে চেয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে এ চুক্তি হবে।

আনন্দবাজারের খবরে আরও বলা হয়, স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা নিয়েও মমতার সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে বলেন, আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই সময়ের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ চিঠির জবাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ছিটমহল এলাকার সব মানুষকে পুনর্বাসন করা সম্ভব কি-না তা খতিয়ে দেখা দরকার। পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে সহায়তাও দ্রুত আসা দরকার।

গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দেওয়া হয়, পুনর্বাসন কাজে রাজ্যকে সব ধরনের সহায়তা দেবে কেন্দ্র। ফলে স্থল চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোনো মতপার্থক্য নেই।

বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশজুড়ে এ নিয়ে যখন মাতামাতি খুব তখনও বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। তবে দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর এবারের সফরে তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত না হলেও এ বিষয়ে অনেকখানি অগ্রগতি হবে। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত