সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:৪৮

রাজধানী জুড়ে বছরের সর্বোচ্চ গতির কালবৈশাখী

দিনভর গরমের পর সন্ধ্যায় ঢাকায় তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের সর্বোচ্চ গতির কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়েছিল রাজধানীবাসী।

রোববার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার পর শুরু হওয়া এই ঝড়ে রাজধানীর অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানা যায়। কোনও কোনও এলাকায় গাছ পড়ে রাস্তাও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের সর্বোচ্চ গতির কালবৈশাখীর ঝড় হয়েছে এখন। ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার, যা এই বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তবে বাতাসের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম ছিলো। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।’

তিনি জানান, কালবৈশাখী সাধারণত তিন ধরনের হয়। মৃদু, মাঝারি ও তীব্র। বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করে এই ক্যাটাগরি ভাগ করা হয়। মৃদু ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ৬১ থেকে ৯০ কিলোমিটার, মাঝারিতে ৯১ থেকে ১২০ এবং তীব্র কালবৈশাখী বলা হয় ১২১ থেকে ১৪৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে। অন্যদিকে, টর্নেডোর ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটারের বেশি হয়।

তবে ঝড়ে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রচণ্ড বাতাসে রাজধানীতে কোথাও কোথাও টিনের চাল উড়ে গেছে। গাড়ি চলাচলও থেমে যায় কোন কোন সড়কে। বিদ্যুতের দুই তার এক হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোথাও কোথাও ঘটেছে বলে জানান তারা।



এছাড়া, বিকেলের পর রাজধানীর বাইরে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলেও তীব্র কালবৈশাখী হানা দিয়েছে বলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর রবিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় বিজলী চমকানোর সঙ্গে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো-হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত