সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৮ ১৬:০১

সিলেটে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা

সিলেটসহ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। অধিদপ্তর জানিয়েছে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১৩ জুন) সকাল থেকেই সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা রয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১০২ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে। ফেনীতে ২২৭ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে রেকর্ড করা হয়েছে।

কুমিল্লায় ১২২ মি.মি. সীতাকুণ্ডে ১০৫ মি.মি. এবং টেকনাফে ১০১ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালের খেপুপাড়ায় ১২৫ মি.মি., বরিশালে ৫ মি.মি., ঢাকায় ৫৮ মি.মি. ও খুলনায় ১৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সকাল ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (৮৯ মি.মি.)বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবলভাবে বিরাজ করছে।

সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতিভারী পর্যন্ত বর্ষণ হতে পারে।

আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা কমে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দেখাতে বলা হয়েছে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত