আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। স্বজনদের উদ্যোগহীনতায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসাও আটকে আছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, একপ্রকার চলাফেরার শক্তি হারিয়েছেন আশরাফুল ইসলাম। এমনকি কাউকে ঠিকমতো চিনতেও পারছেন না। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এই নেতা মন্ত্রণালয় এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে অনুপস্থিত রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবং গণভবনে তৃণমূল নেতাদের বৈঠকেও অসুস্থতার কারণে অংশ নিতে পারেননি আশরাফ। সৈয়দ আশরাফের শারীরিক অবস্থার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার একসময়ের রাজনৈতিক নেতা, ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তিনি তাকে দেখতে তার সরকারি বাসভবনে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় বসে থাকার পরও তাকে (নাজিম উদ্দিন) চিনতে পারছিলেন না। একসময়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন নাজিম উদ্দিন। ওই কমিটিরই সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

নাজিম উদ্দিন জানান, তিনি নিয়ম করে প্রতিদিনই তাকে দেখতে যান এবং সময় কাটান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সৈয়দ আশরাফের ভাইসহ স্বজনদের সৈয়দ আশরাফের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যার ব্যয় প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর লন্ডনের একটি হাসপাতালে স্ত্রী শিলা ইসলামের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এর পরপরই শারীরিকভাবে নানা অসুস্থতা চেপে বসে। ফলে দলীয় কার্যক্রম ও মন্ত্রণালয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি।

সম্প্রতি অসুস্থতায় এতটাই প্রকট হয়ে পড়েন যে, তিনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না। ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করলেও সিঁড়ি ভেঙে বাসার নিচে নামতে পারছেন না। তার সেবাযত্নে একজন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সৈয়দ আশরাফের একমাত্র সন্তান কন্যা রিমি ইসলাম লন্ডনে অবস্থান করছেন। বাবার এই অসুস্থতার মাঝে তিনি আসতে পারেননি। রিমি ইসলাম লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে কর্মরত আছেন বলে জানা যায়।
 
নাজিম উদ্দিন জানান, সৈয়দ আশরাফের উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও স্বজনদের উদ্যোগহীনতায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসা আটকে আছে।