সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৭:১৪

অর্থ পাচার: বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ ৯ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড

অর্থ পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত নয় আসামির সবাই মামলার শুরু থেকে পলাতক। কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামলার অভিযোগ অনুযায়ী পাচার হওয়া ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৬ টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা আসামিদের জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানাকৃত অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে তাদের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান ও এস এম শোয়েব-উল-কবীর।

একাধিক ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর বিসমিল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলায়মান চৌধুরীসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা করে দুদক।

দুদক পরিচালক ইকবাল হোসেন রাজধানীর রমনা, মতিঝিল ও নিউ মার্কেট থানায় এসব মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, দণ্ডিত খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ নয় আসামি পলাতক আছেন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে আরো অনেক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে এটিই প্রথম রায়। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা এ মামলায় ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত