সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জুলাই, ২০১৫ ১৩:৪৪

আদালত অবমাননার জরিমানা: জাফরুল্লাহর আপিল শুনানি ২৬ জুলাই

আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের সাজার বিরুদ্ধে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আপিল শুনানি আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।

আবেদনকারীর আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৩ জুলাই) এ দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে জাফরুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌফিক হোসেন।

এর আগে রবিবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেনও আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুন চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আবেদনটি গ্রহণ করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়ে ৫ জুলাই পর্যন্ত জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। ৫ জুলাই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে সোমবার কার্যতালিকায় আসে।

গত ১০ জুন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার দায়ে এক ঘণ্টার কারাদণ্ড (এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা) এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের কারাদণ্ড সাজা দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে। ব্রিটিশ নাগরিক ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে ট্রাইব্যুনালের সাজার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় তার এ সাজা হয়।

বেলা এগারটা ২৪ মিনিটে এ রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। সে হিসেবে দুপুর বারটা ২৪ মিনিট পর্যন্ত আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থেকে দণ্ড ভোগ করার কথা ছিল ডা. জাফরউল্লাহর। কিন্তু তিনি কাঠগড়ায় উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়ে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট ধরে এজলাসে বাকবিতণ্ডা, ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপতিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

দণ্ড ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল এজলাস ছেড়ে উঠে যাওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী এগিয়ে গিয়ে আদেশের স্থগিতাদেশও দাবি করেন। স্থগিতাদেশের সুযোগ নেই বলে ট্রাইব্যুনাল জানালে বিচারপতিদের জাফরউল্লাহ বলেন, আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ আদেশ দিয়েছেন। বিচারকরা এজলাস ত্যাগ করার পরও উচ্চকণ্ঠে তিনি বলতে থাকেন, এটা বিচারকদের অসহিষ্ণুতার লক্ষণ।

অবশেষে অনেক অনুরোধ ও জোরাজুরিতে দুপুর বারটা ৪৯ মিনিট থেকে একটা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দণ্ড ভোগ করলেও ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়েই ডা. জাফরুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করবেন না। তাতে যা হবার হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত