২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৬:৫২
নেতাকর্মিদের অভিযোগ ছিল সংবাদ সম্মেলনসর্বস্ব হয়ে গেছে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি। সর্বশেষ নজির স্থাপন করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গাজীপুরে সমাবেশ করতে না পারা, দেশব্যাপি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের বাঁধাদানের পর নেতাকর্মিরা যখন কঠোর কর্মসূচির জন্যে প্রস্তুত হচ্ছিল তখন তিনি দায় সারলেন সংবাদ সম্মেলন করে হরতাল ঘোষণার মাধ্যমে।
যে কোন মূল্যে ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে জনসভা করার ঘোষণা দিয়ে পরে সেখানে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং দেশব্যাপি বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে পিছু হটা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে বিএনপিতে। এর মধ্যে সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট যদিও বিএনপি নেতাকর্মিরা নিজেরাই সন্দিহান কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে। আদৌ নেতাকর্মি মাঠে নামবে কীনা এ নিয়ে তারা আছে চরম দুঃশ্চিন্তায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার (২৭ ডিসেম্বর ২০১৪) বিকেলে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এর আগে সেখানে ২০ দলের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়। এতে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য শরিক দলের নেতারা ছিলেন। জামায়াত প্রতিনিধি দলের কেউ বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে জোটের মধ্যে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করে গাজীপুরে জনসভা ‘বানচাল’ ও শনিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু ও নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুসহ কারাবন্দী ২০-দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ হরতাল দেওয়া হয়েছে। এদিকে শনিবার রাতে যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের আলালের গ্রেফতারের পর কেন্দ্রিয় নেতারা আছেন গ্রেফতার আতংকে।
গাজীপুরে পিছু হটা বিষয়ে অনেকেই মনে করেন গাজীপুরে বিএনপির প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার মধ্যে অনৈক্য এবং সেখানকার ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে ‘যেকোনো মূল্যে’ জনসভা করার অবস্থান থেকে সরে আসেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৭ তারিখের জনসভা নিয়ে কয়েক দফায় গাজীপুরের নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের খালেদা জিয়া নিজেই গাজীপুর বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা টের পেয়ে কঠোর কোন কর্মসূচিতে যেতে সাহস পাননি।
আপনার মন্তব্য