সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জুলাই, ২০১৫ ১৫:৪৬

রাজন হত্যা : ‘বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে’

বাংলাদেশের সিলেটে কিশোর রাজন হত্যাকাণ্ডের আরেকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও আরেকজন অভিযুক্ত এখনো সৌদি আরবে আছেন।এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনও সোচ্চার মানুষেরা।

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং এরপরই পুলিশ আরো তৎপর হয়ে ওঠে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা শুরু করে। অপরদিকে নির্যাতনকারীরাও ঘটনাটি ভিডিও করেছিল ফেসবুকে প্রচারের উদ্দেশ্যে। পুরো ঘটনাটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি বড় প্রভাব রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলছিলেন, “বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যথেষ্ট প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হবার পর থেকে এক্সেস অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছে”।

মি. হক বলছেন, “এইভাবে যুক্ত হবা্র ফলে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনেরই ফল পাচ্ছি আমরা। আমার মনে হয় এ ধরনের মাধ্যম ব্যবহারের জন্য যে ধরনের ম্যাচুরিটি, মনমানসিকতা, রুচি থাকার কথা ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশের মধ্যে সেটা নেই। ফলে অনেক বেশি অপব্যবহার হচ্ছে”। নেতিবাচক ঘটনার উদাহরণ হিসেবে রামুর ঘটনা উল্লেখ করেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।

মি. হক বলেন, “এই মাধ্যমের অপব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সবাইকেই সামাজিকভাবে সচেতন হওয়া দরকার। আমার মনে হয়সোশ্যাল মিডিয়া এডুকেশন ব্যবহারকারীদের মধ্যে সঠিকভাবে সমান মাত্রায় পৌঁছাচ্ছেনা”।

রাজন হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে মি. হক বলছিলেন, “যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা পৈশাচিক মনোভাব থেকে করেছে। কিন্তু সচেতন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হবার কারণে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল আকারে ছড়িয়েছে ঘটনাটা”। এখন সব কিছুই মিডিয়া সম্পর্কিত বলে মনে করছেন ফাহমিদুল হক।

মি. হক বলেন, “এখন মূল মিডিয়ার বাইরেও সাধারণ মানুষের আপলোড করা ভিডিও নিউজ হয়ে যাচ্ছে। আর চাঞ্চল্যকর হলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে । ফলে মূল মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমগুলো অনুসরণ করছে”।

সিটিজেন জার্নালিজম সার্বিকভাবে সাংবাদিকতায় একটা নতুন ধরনের মাত্রা এনেছে বলে মনে করছেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। বিবিসি বাংলা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত