সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:৫০

খোকার ছেলে-মেয়েকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেককে চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাই কোর্ট। সম্পদের তথ্য-বিবরণী দাখিল না করার মামলায় আদালত এ নির্দেশ দেয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) তাদের আগাম জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

একটি দুর্নীতি মামলায় সাদেক হোসেন খোকার দশ বছরের সাজার রায় আসার পরদিন হাই কোর্ট থেকে তার ছেলেমেয়ে এই আদেশ পেলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সাদেক হোসেন কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তার ছেলে ইশরাক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।

দুই ভাই-বোনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতে ছিলেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ২০১০ সালের মামলা, তারা ২০১৮ সালে এসে আগাম জামিন চাইছে। আপিল বিভাগ আগাম জামিনের বিষয়ে যে নীতিমালা দিয়েছে এটা তার আওতায়ও পড়ে না। আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ইশরাক ও সারিকাকে চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত বলেছে, আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করলে আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালত বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে-মেয়েকে হাই কোর্ট আগাম জামিন না দিয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।

২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য-বিবরণী চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ইশরাক হোসেন ও সারিকা সাদেককে আলাদা নোটিস দেয়। নোটিসে তাদের নিজের নামে এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ‘স্বনামে বা বেনামে’ বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ-সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎসসহ বিস্তারিত বিবরণ সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়।

কিন্তু তারা তা না দেওয়ায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম ২০১০ সালের ২৯ ও ৩০ আগস্ট রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। দুদক সম্প্রতি অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়ায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ইশরাক হোসেন ও সারিকা সাদেক।

এর আগে তারা দুদকের নোটিস চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন, যেটি আদালতে খারিজ হয়ে যায় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত