সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:২৩

শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে এবার অনশনে শিক্ষার্থীরা

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে এবার অনশনে নেমেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একাংশ।  গত তিনদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি নতুন করে অনশন শুরু করেছে। তবে ক্লাস করলেও পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের গেটের সামনে বসে প্রায় দুইশ শিক্ষার্থী এ ‘অনশন’ কর্মসূচি পালন করছে।

অনশন পালন করা একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিয়া বলেন, শিক্ষক হলো মায়ের মতো। তিনি বকা দেবেন, আবার আদরও দেবেন। আজ আমাদের সেই মা কারাগারে আছেন। মাকে কারাগারে রেখে আমরা বাইরে বসে থাকতে পারি না। তার মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা অনশন চালিয়ে যাব।

সালেহা বেগম নামে এক অভিভাবক বলেন, দোষীদের বিচার অবশ্যই চাই। তাই বলে নির্দোষ কোনো ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন না। আমরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছি। তাদের আন্দোলন যৌক্তিক।

হাসনা হেনা আপার মুক্তি চাই, জাতির কারিগর কেন কারাগারে, হাসনা হেনার মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত, লিখতে শিখিয়েছে যে হাত, সে কেন খাবে জেলের ভাত’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে শান্তিনগরের নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, অরিত্রীর বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ তুলে তার বাবা-মাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের জানানো হয় মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করেন। এ ঘটনার পর সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়।

এরপর গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এতে তিন নম্বর আসামি করা হয় অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে। পরে ৫ ডিসেম্বর রাতে ওই শিক্ষিকা গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়েও যাওয়া হয়। পরদিন আদালত হাসনা হেনার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত