সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১২:২০

মেঘনায় ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ১৮, দুটি লাশ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনার ছয় দিন পর দুটি লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। এদিকে উদ্ধার করা দুইজনের মরদেহ শনাক্তও করেছে তাদের পরিবার। রোববার (২০ জানুয়ারি) তাদের মরদেহ ভেসে উঠে। তবে মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৮ জন। তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শনাক্ত হওয়া লাশ দুটি হলো-সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের মইজউদ্দিন ছেলে রহমত আলী (৩৯) এবং পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুণ্ডুমালা গ্রামের লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৭)।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-গজারিয়া) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানিয়েছেন, চাঁদপুরের ষাটনলের কাছে মেঘনায় নৌবাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে একটি তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় মাটিবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। ওই ট্রলারে তখন ৩৪ জন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন সাঁতারে তীরে উঠতে পারলেও ২০ জন নিখোঁজ থাকেন। ছয় দিন তল্লাশির পর রোববার সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটের কাছে মেঘনায় ভাসমান একটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। রাতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে তাকে রহমত আলী হিসেবে শনাক্ত করেন তার ভাই সোহেল রানা। এরপর বেলা ১২টার দিকে গজারিয়া উপজেলার অদূরে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকায় আরেকটি মরদেহ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। গভীর রাতে চাঁদপুর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তাকে রফিকুল ইসলাম হিসেবে শনাক্ত করেন তার চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান। রাতেরই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ ১৮ জনের একটি তালিকা করেছে মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন। এখন তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত