সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ মার্চ, ২০১৯ ১৯:৫১

রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ নিহত ৭

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে সরঞ্জামাদি নিয়ে ফেয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলোমিটার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর নিশ্চিত করেছেন। আহতদের হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- সহকারী পোলিং কর্মকর্তা ও কিশোলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমীর হোসেন, আনসার-ভিডিপির নেত্রী জাহানারা, আনসার-ভিডিপি সদস্য বিলকিস আক্তার ও আল-আমীন, মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত। অপর একজনের নাম জানা যায়নি। গুরুতর আহতদের মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও কাচলং কলেজের প্রভাষক আব্দুল হান্নান আরব, তৈয়ব ও মনিরের নাম জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটগ্রহণ শেষে দু'টি জিপ গাড়িযোগে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে ফিরছিলেন তারা। পথে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলোমিটার এলাকায় পৌঁছলে পাহাড়ের উপর থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এতে আমীর হোসেন,  বিলকিস আক্তার ও আল-আমীন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত, জাহানারা ও অজ্ঞাতপরিচয় একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১১ জন আহত হয়, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত আব্দুল হান্নান আরবের মাথায় গুলি লেগেছে।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মঞ্জুর বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে ফেয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারোয়ার বলেন, আহতদের হেরিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামে সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।

২৭ বিজিবির জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহাবুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত