যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় আগুনে পুড়িয়ে মারা ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা, মা ও দুই ভাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা, মা শিরিনা আক্তার ও তার দুই ভাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তাদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিতের প্রত্যয় জানিয়ে শেখ হাসিনা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা ও গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কেউই আইনের হাত থেকে কোনোভাবেই রেহাই পাবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে নুসরাত এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন নুসরাত। ২৬ মার্চ নুসরাতের মা শিরীনা আক্তার মামলা করার পরদিন সিরাজকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

ওই মামলা প্রত্যাহার না করায় ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার হল থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায় তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়া তা সম্ভব হচ্ছিল না। ঢাকা মেডিকেলেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান নুসরাত।

তার মৃত্যুর পর ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নুসরাতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

সাক্ষাতের সময় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।