সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৯ ০২:১২

কী থাকছে কামালের প্রথম বাজেটে?

আজ বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর জীবনের প্রথম বাজেট পেশ করবেন।  মোস্তফা কামালের প্রথম বাজেটে কী চমক থাকছে এই নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা।

আগামী ৩০ জুন এ বাজেট পাস হওয়ার কথা।

প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রনালয় বলেছে, রাজস্ব আদায়ে করের হার না বাড়িয়ে বরং করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআরের জন্য নতুন করে দিকনির্দেশনা থাকবে। ভ্যাট আইন কার্যকর করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে এবারের বাজেটে।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী ব্রিফকেস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদে প্রবেশ করবেন। বিকেল ৩টায় তাঁর বাজেট বক্তৃতা শুরু হবে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। অর্থমন্ত্রনালয়ের সূত্র মতে এবারের বাজেটের আকার হতে পারে ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের এবারের বাজেট হবে ‘স্মার্ট’ বাজেট। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই বাজেট। এবারের বাজেটের আকার বাড়লেও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা হবে সংক্ষিপ্ত। তবে এ বক্তৃতার একটি বর্ধিত সংস্করণ বাজেট বই আকারে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে, যা সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য হবে সহজপাঠ্য। বাজেটের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী হলেও তা অর্জন করতে চেষ্টা হবে সাধ্যের মধ্যে। আর এর মধ্যেই থাকবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার। শুধু এক বছরের জন্য নয়, সূদুরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ করে ২০৪১ সালকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছে এবারের বাজেট।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা আরো বলা হয়, রাজস্ব আদায়ে করের হার না বাড়িয়ে বরং করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআরের জন্য নতুন করে দিকনির্দেশনা থাকবে। ভ্যাট আইন কার্যকর করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে এবারের বাজেটে। আইন কার্যকর করতে ভ্যাটের একাধিক স্তর থাকবে। কাস্টমস আইন ও আয়কর আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে সহজবোধ্য ও ব্যবসায় বান্ধব করা হবে। সব আমদানি-রপ্তানি পণ্য শতভাগ স্ক্যানিং করা হবে।

বাজেটে শিক্ষা খাতের সংস্কার, আর্থিক খাতের সংস্কার, শেয়ার বাজারে সুশাসন ও প্রণোদনা প্রদান বিষয়ে সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা থাকবে। আর এ সবই হবে সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য। এবার আকর্ষণীয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। বাজেট বক্তৃতার বর্ধিত সংস্করণ, মূল বাজেট বক্তৃতাসহ অন্যান্য সব ডকুমেন্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশসহ জাতীয় সংসদ হতে সরবরাহ করা হবে।

বাজেট উপস্থাপনের পরের দিন অর্থাৎ ১৪ জুন শুক্রবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত