সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৯ ২০:০৮

রংপুরের মাটি যেন হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা: বিদিশা

মারা গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ইতোমধ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরশাদের দাফন কোথায় হবে তা নিয়ে ইতোমধ্যে এরশাদের স্বজন ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিশেষ করে নিজ জন্মভূমি রংপুরের নেতাকর্মীরা নেতার কবর সেখানে দেয়ার জোর দাবি তোলেন। কবর প্রস্তুতির কাজও শুরু হয় সেখানে। আগামীকাল মঙ্গলবার রংপুরে প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে নেয়া হতে পারে এইচ এম এরশাদের মরদেহ।

নেতাকর্মীদের মত সাবেক স্বামীকে হারিয়ে শোকে কাতর বিদিশা এরশাদও চান এরশাদের কবর যেন রংপুরেই হয়।  এনিয়ে সোমবার (১৫ জুলাই) নিজ ফেসবুক পেজে নতুন করে এক স্ট্যাটাস দেন বিদিশা এরশাদ। তিনি লেখেন, ‘আমিও তা-ই চাই, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর মতো রংপুরের মাটি যেন হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা। সহধর্মিণী থাকতে বহুবার পল্লীনিবাসের বারান্দায় ছেলে এরিককে কোলে বসিয়ে উনি আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমার ছোট, দেখ আমার মৃত্যুও যেন আমার ছেলের কাছে থেকে দূরে না রাখে। আমার কবর আমি এই পল্লীনিবাসে চাই। রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান আমি দিতে পারিনি আজও। রংপুরের মানুষ আমার কবরে এসে দোয়া করবে- এটাই আমার চাওয়া। প্রতিবার এই কথাটি বলতেন তিনি এরিকের দিকে তাকিয়ে, ভিজা চোখে।’

বিদিশা আরো লেখেন, ‘আজ সদ্য বাবাহারা ছেলে আমার মায়ের আশ্রয়েও নেই। এরিকের চোখের পানিতে পাথরও গলে যায় কিন্তু গলে না রাজনীতিবিদদের মন। আমার ছেলে এরিককে আটকিয়ে রাজনীতির কোন ফায়দা লুটবেন এনারা?’

প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এইচ এম এরশাদ। ওই সময় আজমির শরিফ ছিলেন বিদিশা। স্বামীর সুস্থতায় সেখানে তিনি প্রার্থনা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এরশাদ। এরশাদ মারা যওয়ার পর আবেগঘন স্ট্যাটাস লেখেন প্রিয় স্বামীর জন্য। সেখানে তিনি সদ্যপ্রয়াত এরশাদকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘আমিও আজমির শরিফে আর তুমিও চলে গেলে। আবার হয়তো দেখা হবে অন্য এক দুনিয়ায়। এ জন্মে আর দেখা হলো না। আমিও আজমির শরিফ আসলাম, আর তুমিও চলে গেলে। এত কষ্ট পাওয়ার থেকে মনে হয় এই ভালো ছিল। আবার দেখা হবে হয়তো অন্য এক দুনিয়াতে, যেখানে থাকবে না কোনো রাজনীতি।’


আপনার মন্তব্য

আলোচিত