সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ জুলাই, ২০১৯ ১২:২৯

প্রিয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন প্রিয়া সাহা

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে করেছেন, তা নাকচের পাশাপাশি এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে এক সমাবেশে যোগ দিয়ে লন্ডন রওনা হওয়ার আগে একথা বলেন। খবর বিডিনিউজের। শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে বলেছে, “বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যেই প্রিয়া সাহা এই ধরনের বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ করেছেন।”

ড. মোমেন বলেন, “প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা একেবারেই মিথ্যা। বিশেষ মতলবে এমন উদ্ভট কথা বলেছেন তিনি। আমি এমন আচরণের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার দাবি, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন।

ওই সম্মেলনে বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার অভিযোগ বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের জন্য বিবৃতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। প্রিয়া সাহার অভিযোগ সম্পর্কে মোমেন বলেন, বাংলাদেশে সরকারী কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু, যদিও তারা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, “ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেছেন। তাই প্রিয়া সাহার বক্তব্য যে অন্তঃসারশূন্য এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে জঘন্য মিথ্যাচার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

“এ ধরনের অভিযোগে প্রকারান্তরে শান্তিপূর্ণ সমাজে বিশৃঙ্খলা উষ্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তা কখনও হতে দেবে না।”

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ‘যাদের সহ্য হচ্ছে না’, সেই গোষ্ঠির উদ্দেশ্য পূরণেই প্রিয়া সাহা এই অভিযোগ করেছেন বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত