সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ জুলাই, ২০১৯ ১৩:৪৩

১২ বছরে ১২ শিশু বলাৎকার, ইমাম গ্রেপ্তার

রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার শিক্ষকতা করেন ইদ্রিস আহমেদ। দীর্ঘ ১৮ বছরের ইমামতির প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসার শিশু ও জিনের ভয় দেখিয়ে বিধবা ও প্রবাসীদের স্ত্রী ধর্ষণ করতেন ইদ্রিস।

সোমবার (২২ জুলাই) ইদ্রিস আহমেদ (৪২) সম্পর্কে এসব তথ্য দেন র‌্যাব ১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

সারওয়ার বিন কাশেম বলেন,  “ধর্ষক ইদ্রিস দক্ষিণখানের স্থানীয় একটি মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে ইমামতি করেন। পাশাপাশি ওই মসজিদের মাদ্রাসার শিক্ষকও তিনি। মাদরাসায় পড়তে আসা ১০/১২ বছরের কমপক্ষে ১২ জন শিশুকে তিনি বলাৎকার করেছেন।”

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন,  “আমাদের কাছে এমনও অভিযোগ আছে। একটি শিশুকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই ধর্ষক বলাৎকার করে আসছে। পাশাপাশি তিনি তার মোবাইল ফোনে এই বলৎকারের ভিডিওগুলো ধারণ করেন। অন্যদিকে এই ইমাম জিনকে বশ করতে পারে, এমন একটি গুজব সে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। যে কোনো সমস্যার সমাধান তিনি দিতে পারেন বলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা আছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিধবা মেয়ে বা যেসব নারীর স্বামী বিদেশে থাকে তাদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।”

সারওয়ার বিন কাশেম বলেন,  “মসজিদের একটি বিশেষ কক্ষে সে ঘুমাতেন। তার সকল অপকর্ম ওই কক্ষেই সম্পন্ন করতেন এবং তার এই অপকর্মের ভিডিও গুলো তিবি তার খাদেমদের দিয়ে ধারণ করাতে বাধ্য করতেন।”

র‌্যাব জানায়,  “সম্প্রতি এক নারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে এ ঘটনা আমরা অনুসন্ধান করি। অনুসন্ধানকালে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আর তিনি মোবাইল ফোনে ওই ধরনের অপকর্মের অনেকগুলো ভিডিও ও স্থিরচিত্র পাওয়া গেছে।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই ধর্ষক প্রত্যেকটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এটাও বলেছে জিন নিয়ে সে মিথ্যা প্রচারণা করেছে জানিয়ে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, “অভিযুক্ত ইদ্রিস আহমেদ সিলেটে বসবাস করতেন। সিলেটের একটি মাদ্রাসা হতে ১৯৯৮ সালে টাইটেল পাস করেন। এরপর তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের একটি মসজিদে ইমামতি এবং পাশাপাশি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। ৪ বছর পর ২০০২ সালে ঢাকায় আসেন এবং দক্ষিণখানে বর্ণিত মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি প্রায় ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে, এই মসজিদের ইমামতি করে আসছেন।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত