সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ আগস্ট, ২০১৯ ০১:০৩

প্রশ্নের জন্ম দিয়ে ‘চুপ’ গ্রিল ধরে ঝুলে থাকা সিলেটের সেই কিশোরী

ঢাকার কাকরাইলে একটি বহুতল ভবনের দশম তলার বারান্দার বাইরে কার্নিশে পা রেখে উপরের গ্রিল ধরে ঝুলে থাকা এক কিশোরীকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।

তবে ওই বাসার গৃহকর্মী কিশোরীটি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করছেন না বলে জানিয়েছেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইলের কর্নফুলী গার্ডেন সিটির পেছনে সার্কিট হাউজ সড়কে ‘গাউসিয়া ডাইনেস্টি’ নামে ১৫ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ১০তলার বারান্দার বাইরে মেয়েটিকে ঝুলে থাকতে দেখে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন পথচারীরা। খবর পেয়ে পুলিশও চলে আসে।

উত্তেজনার এক পর্যায়ে বারান্দার জানালা দিয়ে ভেতরে ঢোকেন ১৪ বছরের মেয়েটি। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়ে ওই বাসার গৃহকর্ত্রী ও মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেন। মেয়েটির বাড়ি সিলেটে।

পরিদর্শক জহিরুল বলেন, “গৃহকর্ত্রী লাভলী রহমান বলেছেন, কাপড় ধোয়া নিয়ে সমবয়সী দুই গৃহকর্মীর ঝগড়ার মধ্যে এই মেয়ে বারান্দায় গ্রীলের একটি কাটা অংশ দিয়ে বাইরে চলে যায়।

“পরে বাসায় ওই মেয়ে এবং অন্য সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাকে মারধরের কোনো অভিযোগও করেনি মেয়েটি।”

এরপরেও ওই বাসার দুই গৃহকর্মী এবং গৃহকর্ত্রীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সন্ধ্যায় জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

“কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করছে না।”

এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহিরুল ইসলাম জানান, গৃহকর্ত্রী লাভলী রহমান দাবি করেছেন, ওই মেয়েটির মা-বাবা অন্যত্র বিয়ে করেছেন। পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে মেয়েটিকে পেয়েছেন তিনি।

লাভলী রহমান দাবি করেছেন, “বাবা-মায়ের স্নেহবঞ্চিত এই মেয়েটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো ভালবাসেন। তার নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে বেতনের টাকা নিয়মিত সেখানেই জমা করেন।”

তাকে নির্যাতন বা অন্য কোনো অভিযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে ওই মেয়েটিকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মেয়েটিকে আর ওই বাসায় পাঠানো হবে না জানিয়ে পরিদর্শক জহিরুল বলেন, “তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে আইনগতভাবে প্রকৃত অভিভাবকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত