১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৩:০২
অনেক স্বপ্ন নিয়ে আট মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন সিলেটের আবু বক্কর। কিন্তু গতরাতে (মঙ্গলবার) শুন্যহাতে দেশে ফিরতে হয় তাকে। কাজের বৈধ অনুমোদন (আকামা) থাকা সত্ত্বেও সে দেশের পুলিশ ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানান আবু বক্কর।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (SV 804) বিমানযোগে বক্করের মতো দেশে ফিরেন ১৬০ বাংলাদেশি। আর গত তিনদিনে ফিরলেন সর্বমোট ৩৮৯ জন।
আগের দিনের মতো গতকাল দেশে ফেরা কর্মীদেরকে বিমানবন্দরের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবারসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরী সহায়তা প্রদান করা হয়।
ফেরত আসা চাঁদপুরের জামাল বলেন, সাড়ে চার হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা করার দুই মাসের মাথায় রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
বায়জিদ (পটুয়াখালী), আবু সাইদ (মানিকগঞ্জ), নাসিম (মাদারীপুর), জামাল (কুমিল্লা), মিজান (মুন্সিগঞ্জ), টিপু সুলতান (বি বাড়িয়া), সিরাজ (মাদারীপুর) জহুরুল (কুষ্টিয়া) সহ ১৬০ বাংলাদেশির সবার এমন অভিযোগ।
তারা বলছেন, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ধরে জেলখানাতে কিছুদিন রেখে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
কিছু কর্মী অভিযোগ করেছেন, কফিল (মালিক) আকামা নতুন করে নবায়ন করেনি বা আকামা বাতিল করে তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোন সহযোগিতা করেনি।
সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় সমস্যা তৈরি হবে বলে তারা জানান।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, গত নয় মাসে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি থেকে ফিরতে হয়েছে। সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কোনো সহযোগিতা করছে না বলে কর্মীদের অভিযোগ। এই রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রতি সরকারের আরও গুরুত্বারোপ করা দরকার।
আপনার মন্তব্য