সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৫:২৬

নেপালের বাগমতি নদী পরিষ্কারে বাংলাদেশের নদীকর্মীরা

ওয়াটার কিপার অ্যালায়েন্সের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সম্মেলনের অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসহ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত নদীকর্মীরা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুস্থ বাগমতী নদী পরিষ্কার পরিচ্ছনতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে এই অভিযানে স্থানীয় বিভিন্ন পরিবেশবাদী, সামাজিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের হাজারো স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। এতে বাংলাদেশের চার রিভারকিপার অংশগ্রহণ করেন।

নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে দক্ষিণ এশিয়ার নদী বিষয়ে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ভোরে কাঠমান্ডু নগরীর কেন্দ্রস্থল দিয়ে প্রবাহমান বাগমতি নদীর একাংশ প্রায় চার ঘন্টাব্যাপী অভিযানে পরিচ্ছন্ন করা হয়।

পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষে বাংলাদেশ থেকে আসা বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আহবানে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে আয়োজিত নদীর জন্য পদযাত্রার সাথে সংহতি রেখে বাগমতি নদীর পাড়ে একটি সংহতিবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে যোগ দেন ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক মার্ক ইয়াগী ও পরিচালক ক্রিস ওয়াকি, ওয়াটারকিপার নেপালের সমন্বয়ক মেঘ আলে, চায়না ওয়াটারকিপারের সমন্বয়ক হাও ঝিন, ওয়াটারকিপার বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, নেপালের বাগমতি রিভার ওয়াটারকিপারের মৌসুম ক্যানাল, যুক্তরাষ্ট্রের সাভানা রিভার ওয়াটারকিপারের তনিয়া বনিতাতিবাস, বাংলাদেশের সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের তোফাজ্জল সোহেল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার শেখ নুর আলম, ভারতের কালি রিভার ওয়াটারকিপার সোনাল ভূষন, শ্রীলংকার মাহাওয়ালী রিভার ওয়াটারকিপার রুভিনি উইয়ারাসিংহাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নদী আন্দোলনের সংগঠকেরা।

সংহতি সমাবেশে মার্ক ইয়াগী বলেন, ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশের জন্য নদী আন্দোলনের গুরুত্ব আমরা উপলব্ধি করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য নদীরক্ষার আন্দোলন অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। তাই বাংলাদেশের সকল মানুষ ও নদীকর্মীকে নদী দিবসের পদযাত্রার জন্য অভিনন্দন।

হাও ঝিন বলেন, সারা পৃথিবীর ওয়াটারকিপার এক ও অভিন্ন । দক্ষিণ এশিয়ার নদী রক্ষার প্রয়াসে চায়নার জনগণের সহযোগিতা থাকবে।

মেঘ আলে বলেন, চীনের সহযোগিতা যেমন নেপাল ও ভারতের নদীর জন্য জরুরী, তেমনি নেপাল ও ভারতের সহযোগিতা বাংলাদেশের নদী বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের নদীকর্মীদের পদযাত্রার সাথে আমরা সংহতি জানাচ্ছি।

শরীফ জামিল বলেন, চরম হুমকির মুখে থাকা বাংলাদেশের নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার পাঁচ দেশ একসাথে কাজ করা খুব জরুরী। বাংলাদেশের নদীগুলো জীবন্ত স্বত্বা হিসাবে দখল, দূষণ কিংবা উজানের নদী নিয়ন্ত্রণের এক তরফা কর্মকাণ্ড সবই আইনগতভাবে আপরাধ। আমরা সবাই নদীর জন্য পদযাত্রার মাধ্যমে নদীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নদীর পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার জানাই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত