সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:১৯

স্ত্রী-সন্তান মারা যাওয়ার খবর জানানো হয়নি জাহাঙ্গীরকে

সিলেটে হযরত শাহ জালালের (র.) মাজার জিয়ারত করে উদয়ন ট্রেনে ফিরছিলেন চাঁদপুরের হাইমচরের তিকশিকান্দির জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার পরিবার। সোমবার (১১ নভেম্বর) মধ্য রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা মন্দবাগ এলাকায়  দুই ট্রেনের সংঘর্ষে মারা যান জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী ও সন্তান। দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন জাহাঙ্গীর হোসেনও। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে তিনি চেতনা ফিরে পেলে পরিবার-পরিজনের খবর জানতে চান নার্সদের কাছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে তাকে তাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।
 
দুই ট্রেনের সংঘর্ষের সময়, জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন উদয়ন ট্রেনের দশ নম্বর বগিতে। দুর্ঘটনায় নিহত হন দুর্ঘটনায় নিহত হন জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী আমাতন বেগম (৩৫), মেয়ে মরিয়ম (৫), বোনের ছেলে মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী কাকলী বেগম। দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাগনের শিশু সন্তান মাহিমা এবং বোন রাহিমা বেগম। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জাহাঙ্গীরকে। তার বাঁ পা ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। আহত জাহাঙ্গীর তার পরিবারের লোকদের খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করছেন।

জানা যায়, চাঁদপুরের হাইমচরের তিকশিকান্দির হাসিম আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) তার স্ত্রী আমাতন বেগম (৩৫), মেয়ে মরিয়ম (৫), বোন রাহিমা বেগম (৪৫), বোনের ছেলে মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী কাকলী বেগম ও তার শিশু কন্যা মাহিমাকে নিয়ে ৬ নভেম্বর সিলেট যান। হজরত শাহ জালাল (র) এর মাজার জিয়ারত শেষে তারা সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসে করে ফিরছিলেন। ছিলেন পেছনের দিকের বগিতে। আহত বোন রাহিমা ও শিশু মাহিমা ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরের অবস্থা ভালো না। ভেঙে যাওয়া স্থানে এখন অস্ত্রোপচার করা যাবে না, তার শরীর দুর্বল। এই মুহূর্তে জাহাঙ্গীরকে বেশি কথা বলতে দেওয়া যাবে না। তিনি মানসিক চাপে আছেন এবং শারীরিকভাবেও সে অনেক দুর্বল। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত