সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ২১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এ সময় তিনি ২০১৮-১৯ সালের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নৌসদস্যদের শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার (২১-১১-২০১৯) বনানীস্থ নৌ সদর সাগরিকা হলে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা ও শান্তিকালীন পদক তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ সালে নৌবাহিনীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৬ জন নৌসদস্যকে শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করা হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন এর পরিবারসহ ৫ জন বীরউত্তম, ৭ জন বীরবিক্রম, ৮ জন বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান এবং পরিবারবর্গের সদস্যগণ, কর্মকর্তাগণ ও বিপুল সংখ্যক নৌসদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন, ইআরএ-১ এর কন্যা নুরজাহান বেগম সম্মাননা গ্রহণ করেন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা কমডোর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী, বিএন (অব.) বীর উত্তম, বীরবিক্রম, লে. কমান্ডার মো. জালাল উদ্দিন, বিএন (অব.) বীরউত্তম ও মরহুম আফজাল মিয়া, ইআরএ-১ (অব.) বীরউত্তম এর স্ত্রী মিসেস মরিয়ম আফজালসহ উপস্থিত অন্যান্য খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

শান্তিকালীন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে চার জনকে মরণোত্তর সেবা পদক প্রদান করা হয়। এরা হলেন মরহুম লে. কমান্ডার মো. ফিরোজ কবীর,  মরহুম লে. কমান্ডার মোজাক্কির হোসেন খান। পাশাপাশি জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্বরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গের জন্য ই. লে. কমান্ডার মো. আশরাফ সিদ্দিকী এবং মো. নুরুল ইসলাম, লিডিং সিম্যান (সিডি-২)-কে মরণোত্তর অসামান্য সেবা পদকে ভূষিত করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নৌপ্রধান মুক্তিকামী বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী লাখো শহীদদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, একটি কার্যকর ও পেশাদার নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেইসাথে নৌবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে সংযোজিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও আধুনিক সামরিক সরঞ্জামাদি। তিনি

নৌবাহিনী তথা দেশমাতৃকার গৌরব সমুন্নত রাখতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল নৌসদস্যকে পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান।