সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:৪৮

‘ বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাতক্ষীরার ছাত্রলীগ কর্মীরা সন্ত্রাসী ছিলেন না’

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের দুই কর্মী সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তবে পুলিশ বলছে নিহতরা চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোররাতে শহরের বাইপাস সড়ক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ছাত্রলীগের দুই কর্মী দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম ।

জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের দেহরক্ষী ছিলেন নিহত দুজন। এছাড়া তারা দুই জন সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র আস্থাভাজন ছিল বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘তারা সন্ত্রাসী ছিল না।’ তিনি এই প্রসঙ্গে আর কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলামকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়। পরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোররাতে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের বকচরা মোড়ে তাদের নিয়ে অভিযানে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। কালীগঞ্জের এক ব্যক্তির ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন লোককে হত্যার সঙ্গে দ্বীপ ও সাইফুল জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

দ্বীপ আজাদ শহরের মুনজিতপুর এলাকার মইনুল ইসলামের ছেলে। আর সাইফুল ইসলাম কালীগঞ্জের সাইহাটি গ্রামের সবুর সরদারের ছেলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত