নিউজ ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০২:৪০

সিলেটের ক্রীড়া-সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল ২০১৪

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য ২০১৪ সালটি ছিলো স্মরণীয় বছর। কারণ সিলেটের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সরকারের ব্যয় হয়েছে মোট ১১৮ কোটি টাকা। যার সবগুলো প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। এছাড়া উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে আরো ৩৫৫ কোটি টাকার বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে।

বিগত সময়ে ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে স্থবিরতা নেমে আসে উন্নয়ন প্রকল্পে। কিন্তু এবার মহাজোট সরকার পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ায় বিগত দিনে শুরু হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান ছিলো। যে কারণে সিলেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাত ধরে শুরু হওয়া বড় বাজেটের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নির্মাণ কাজ চলমান ছিলো। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে মহাজোট সরকারের আমলে এবার উন্নয়ন হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়। বিএনপি-জামায়াতের এসব সহিংস আন্দোলন পূর্বের সব রাজনৈতিক আন্দোলনকে ছাড়িয়ে গেছে। যে কারণে সাধারণ মানুষসহ রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হয়। আর তা  মোকাবেলা করতেই কেটে গেছে সরকারের প্রথম বছর। সেই প্রভাবও পড়েছে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায়। তবে সিলেটে উল্লেখযোগ্য নতুন কোনো প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু না হলেও বিগত সময়ে শুরু হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান ছিলো। বিশেষ করে ২০১৪ সাল সিলেটের প্রগতিশীল এবং ক্রীড়ানুরাগীদের জন্য ছিলো স্মরণীয় একটি বছর। কারণ ২০১৩ সালে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হাতে বাঙালির শাশ্বত সংগ্রামের বিজয়ের প্রতিক শহীদ মিনার ক্ষতবিক্ষত হয়। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগান সিলেটের কৃতিসন্তান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সিলেটবাসীর হৃদয়ের যাতনাই কেবল তিনি দূর করেননি;

শহীদ মিনারকে আরো বিস্তৃত করে অনন্য এক স্থাপত্যশৈলী দিয়ে সগর্বে দাঁড় করান স্মৃতির মিনারকে। অর্থমন্ত্রীর সাথে চেতনার উৎসবে এসে সংস্কৃতিমন্ত্রী ও খ্যাতিমান নাট্যব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এ শহীদ মিনারকে দেশের সেরা দৃষ্টিনন্দন একটি শহীদ মিনার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। শহীদ মিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষের ঢল নামে। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সিলেটবাসীর কাছে অনন্য নিদর্শন হিসেবে ম্মৃতির মিনার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

এছাড়া বিগত বছর ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে এই স্টেডিয়াম নাম পরিবর্তন করে পূর্ণাঙ্গ সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিতি পায়। স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের স্বীকৃতি আদায় করে বিশ্বকাপের মতো বড় একটি আয়োজনের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করে রাজার মতো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং বিশ্বের অন্যতম গ্রিণ গ্যালারি বিশিষ্ট স্টেডিয়াম গত বছর সিলেটের দর্শকদের কাছে উৎসবের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠে। ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পর ক্রীড়াঙ্গনের পালকে যুক্ত হয় আরো দুটি অর্জন। সাড়ে ১২ কোটি টাকায় নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সিলেট ক্রীড়া কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হয় গতবছর।

এছাড়া উদ্বোধন হয় দেশের প্রথম ফুটবল একাডেমীর। এই তিনটি প্রকল্পে মোট ব্যয় হয় ১১৮ কোটি টাকা। এসব প্রকল্প ছাড়াও উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে আরো ৩৫৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাজিরবাজার সেতু, ১৩২ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত কুশিঘাটের পানি শোধনাগার প্রকল্প, ৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের রিফুয়েলিং স্টেশন, ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহপরানস্থ খাদিমপাড়া হাসপাতাল, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত শহীদ শামসুদ্দীন আহমদ শিশু হাসপাতাল ও ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহী ঈদগাহ মিনার নতুন বছরে

আপনার মন্তব্য

আলোচিত