নিউজ ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ০২:১১

বিয়ানীবাজারে টিলাকাটা উৎসব!

ছবিঃ রাজু ওয়াহিদ

তথ্য-সূত্র : দৈনিক উত্তরপূর্ব


বিয়ানীবাজার বিয়ানীবাজারে অবাধে কাটা হচ্ছে টিলার মাটি। প্রশাসনের নিষ্কৃয়তার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা আইন অমান্য করে রাতের আঁধারে চালিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ বিধংসী এ কাজ। টিলার মাটি কেটে ট্রাকযোগে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার অর্ধশতাধিক ছোট-বড় টিলায় মাটি কাটা অব্যাহত থাকলেও উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এদিকে, রাতের আঁধারে টিলার মাটি কাটতে গিয়ে এক কিশোর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসাড়িপাড়া, সুপাতলা, চন্দ্রগ্রাম, লাউতা ইউনিয়নের জলঢুপ ও বাউরভাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে টিলার মাটি কাটা হচ্ছে। গত ক’দিনে পৌরসভার সুপাতলা ওসমানি স্টেডিয়ামের পাশে ৪০ ফুট উচ্চতার পাহাড়ের মাটি কেটে এরই মধ্যে সমতল করা হয়েছে। চলছে দোকানপাঠ ও ঘর নির্মাণ। ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় ব্যবসায়ীদেরকে এসব টিলার মাটি কাটতে তেমন সমস্যায় পড়তে হয় না। কিছু অর্থের বিনিময়ে তারা টিলার মালিকদের ‘ম্যানেজ’ করে নেন। আর এভাবে চলতি মৌসুমেই প্রায় ৫০টি টিলার মাটি কেটে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

সরেজমিনে পৌরসভার কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকরা টিলার মাটি কেটে ট্রাকে তুলছে। পৌরসভার বাইরের নিচু এলাকায় এসব মাটি নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এক ট্রাক মাটি দূরত্বের ভিত্তিতে বিক্রি করা হচ্ছে পনেরশ’ টাকা থেকে দুই হাজার টাকায়। আর একটি ট্রাক প্রতিদিন ১০/১৫ বার মাটি ‘লোড-আনলোড’ করে। এদিকে, উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে টিলা কাটতে গিয়ে এক কিশোর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধনি প্রায় ৫০ ফুট উচু টিলার ওই মাটি যাচ্ছে বড়লেখা উপজেলার চান্দ্র গ্রামের একটি ইটভাটায়। আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচতে আহত শ্রমিককে বিয়ানীবাজার উপজেলা হাসপাতালে না নিয়ে টিলার মালিক ও ইট ভাটার মালিক মিলে পাশ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আহত আমিন উদ্দিনকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমিন উদ্দিন  বড়লেখা উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের উজিরপুরের আনজব আলীর পুত্র। এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবের আহমদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। তবে এখনো কেউ থানায় এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ের মাটি কাটা অবৈধ। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার কিছু জটিলতা থাকায় সরাসরি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ কোন অভিযোগ দিলে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করি। কিন্তু উপজেলায় এসব নিয়ে কেউ কোন অভিযোগও দেয় না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত