নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

১৮ মে, ২০১৬ ১৭:০৯

নবীগঞ্জে প্রথমবারের মতো দুই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী

স্বাধীনতার পর এবার প্রথম বারের মতো হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ডেইজি চৌধুরী ও শাহিনা আক্তার চৌধুরী নামের দুই জন মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলার ৯নং বাউশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেইজি চৌধুরী এবং ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শাহিনা আক্তার চৌধুরী ।

চলমান ইউপি নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত তারা দুইজনই একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী। নবীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে এর আগে কোন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হননি। এবারই প্রথম দুই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন।

২৮ মে ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউপি নির্বাচন হবে। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নবীগঞ্জের ১৩টি ইউনিয়নের গত ৫ মে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাচাই শেষ হয়েছে। এতে ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চেরাগ আলীর মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর ও ব্যাংক স্টেইটমেন্ট না থাকার কারনে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।

এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী ৪জন ও সাধারণ সদস্য পদে বিভিন্ন কারনে ৫ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার। ১৩ মে সকল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করা হয়েছে। এবার প্রার্থীদের মধ্যে ৭৮জন চেয়ারম্যান, ১৫৯ জন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও ৫৫৭জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে সদ্য বহিষ্কৃত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন ৭ জন, বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন ১২জন। আওয়ামীলীগ ১৩টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিলেও বিএনপি ১২টি ও জাপা ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিয়েছে।

১৩টি ইউপিতে মোট ৭৮ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এর মধ্যে উপজেলার বাউশা ইউপিতে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই এর স্ত্রী ডেইজি চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ডেইজি চৌধুরী ছাড়া বাউশা ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবু সিদ্দিক, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমান, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মজিদুল করিম মজিদ এবং আল ইসলাহ নেতা আব্দুল লতিফ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলার ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা জাপার (এরশাদ) সহ সভাপতি ইউসুফ চৌধুরীর স্ত্রী শাহিনা আক্তার চৌধুরী জাপা মনোনীত প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার সাথে আরো আছেন আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী দিলাওর হোসেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লন্ডন প্রবাসী মুহিবুর রহমান হারুন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন কাওসার আহমদ কয়ছর, এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কাওসার মিয়া, ও হীরা মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলার ১৩টি ইউপিতে ২৮ মে পঞ্চম দফা উপজেলায় নির্বাচন হবে।

ডেইজি চৌধুরী বলেন, ‘মূলত এলাকার মানুষের সেবা করার ব্রত থেকেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি।’ আমার স্বামী দীর্ঘদিন ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাই আমি জনগণের সেবার করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।

উল্লেখ্য যে, ডেইজির স্বামী আব্দুল হাই বাউশা ইউপির তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত দুইবার উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাপা মনোনীত প্রার্থী শাহিনা আক্তার চৌধুরী তিনি বলেন, আমার ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল জনগণের সেবা করা।এই জন্য সেই স্বপ্ন পূরণ করতে আমি জাপা প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি শতভাগ আশাবাদী বিজয়ী হবো এবং পল্লী বন্ধু এরশাদকে লাঙ্গলের প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হয়ে ফুলের মালা দিবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত