তপন কুমার দাস,বড়লেখা

১৮ মে, ২০১৬ ১৯:২৭

বড়লেখায় পাহাড়ি ঢলে জলাবদ্ধতা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার উত্তর চৌমোহনা ও উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঁঠালতলি বাজার এলাকায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুই বাজারের প্রায় তিনশত দোকানে পানি ওঠেছে।

দোকানের মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। তলিয়ে গেছে বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের ডিগ্রি কলেজ এলাকা। মঙ্গলবার (১৭ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১৮ মে) সকালে সরেজমিনে বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, প্যানেল মেয়র তাজ উদ্দিন, কাউন্সিলর আব্দুল মালিক জুনু, রাহেন পারভেজ রিপন প্রমুখ জলাবদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার উপজেলায় কয়েকদফা ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা পৌরসভার উত্তর চৌমোহনা এলাকার দুই শতাধিক দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। দোকানের মালপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে।

বুধবার (১৮ মে) সরেজমিনে দুপুরে বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে তলিয়ে যাওয়া দোকানের ব্যবসায়ীরা দোকান থেকে নষ্ট মালামাল সরাচ্ছেন। পৌরসভার উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, তাঁর ভূষিমালের (মুদি) দোকানে পানি ওঠেছে। এতে মালামাল ভিজে তাঁর প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের উত্তর চৌমোহনা ও বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিকেলে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এ সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট যান চলাচল করতে পারছে না। এতে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।



অপরদিকে ঢলে দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় কাঁঠালতলি বাজার এলাকায় অর্ধশতাধিক দোকানে পানি ওঠেছে। একইভাবে পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড, হাটবন্দ, বারইগ্রাম, আদিত্যের মহাল এবং বড়লেখা সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এলাকাতেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন।

অন্যদিকে পৌরসভা ও সদর ইউনিয়ন এলাকার মাছের খামারের প্রায় ৫০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। মৎস্য খামারি ইকবাল হোসেন স্বপন জানান, তাঁর চারটি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বুধবার বলেন, ‘জলাবদ্ধতার অবস্থা খুবই খারাপ। মূলত শহরের দক্ষিণে নিখড়ি ও উত্তরে ষাটমা নামে দুটি নদী আছে। এ দুটির উৎসই হচ্ছে পাথারিয়া পাহাড়। নদী দখলমুক্ত ও খনন না করায় বৃষ্টি দিলেই ঢল নামে। আর তা শহরে এসে আঘাত করে। নদী দখলমুক্ত ও খনন করলে শহরে আর পানি ওঠবে না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত