মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

০৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:৫৯

মৌলভীবাজারে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

শ্রীমঙ্গলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের জেরে মৌলভীবাজার জেলায় আহুত পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই গেস্ট হাউস এ অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। বৈঠক শেষে শ্রীমঙ্গল মাইক্রোবাস সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৈঠকে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আজিজুর রহমান, পরিবহন শ্রমিক নেতা সেলিম আহমদ ফলিকসহ প্রশাসন ও বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

বৈঠকে পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পরিবহন শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।

শুক্রবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পরিবহন ধর্মঘট পালন শেষে বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে শনিবার ও রোববার মৌলভীবাজার জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন মৌলভীবাজার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দেব এবং শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ লুৎফুর রহমানসহ অন্য নেতারা।

ধর্মঘটের ফলে শনিবার সকাল থেকে জেলায় বাস-ট্রাক-সিএনজি-ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষসহ বেড়াতে আসা পর্যটকরা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে গাড়ি রাখা (পার্কিং) নিয়ে এক বিজিবির সদস্যের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ খবর বিজিবির শ্রীমঙ্গল সদর দপ্তরে পৌঁছালে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে মারধর করেন। পরে পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রায় ১০০ গাড়ি ও ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত