তাহিরপুর প্রতিনিধি

১৮ জুন, ২০১৭ ১৫:২৫

আটক ভারতীয় কিশোরীকে নিয়ে বিপাকে তাহিরপুরের পুলিশ

ভারতীয় কিশোরী শ্রুতি পাল

শনিবার (১৭ জুন) রাতে আটক ভারতীয় এক কিশোরীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বিপাকে পড়েছে সুনামগঞ্জর তাহিরপুর থানা পুলিশ। ভারতীয় ওই কিশোরীর নাম শ্রুতি পাল (১৩)। পুলিশের নিকট শ্রুতি নিজেকে ভারতের শিলিগুড়ির গণেশ পাল ও দূর্গা রাণী পাল দম্পতির মেয়ে বলে পরিচয় দিলেও জিজ্ঞাসাবাদে অনেক কিছু এড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউকান্দি বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাফেরা করার সময় লোকজনের নজরে পড়ে শ্রুতি। সে তখন হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল। পরে স্থানীয়রা তাকে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য করবুল নেছার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা করে দেন।

কিশোরী শ্রুতির পরিচয় নিশ্চিত হতে শনিবার উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন খাঁনের নিকট নিয়ে গেলে ভাষাগত কারনে শ্রুতি নিজের সঠিক পরিচয় দিতে পারেনি বা চেপে যায়। খবর পেয়ে এক পর্যায়ে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানা পুলিশ শ্রুতিকে তাদের হেফাজতে নেয়।

পুলিশ জানায়, ওই রাতে থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শ্রুতি শুধুমাত্র নিজেকে ভারতের শিলিগুড়ির প্রয়াত গণেশ পাল ও মা প্রয়াত দূর্গা রাণী পাল দম্পতির মেয়ে বলে পরিচয় দিলেও অনেক প্রশ্নের জবাব কৌশলে বার বার এড়িয়ে যায়।

তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, শ্রুতি তার পরিবারের কোন সদস্য বা নিকটাত্মীয়ের পরিচয় কিংবা ফোন নাম্বারও দিতে পারছে না। বলছে, তার আর কোনও ভাই-বোন নেই। কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রুতি কখনো কাঁটা তারের বেড়ার নীচ দিয়ে আবার কথানো বাসযোগে শিলিগুড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী মেঘালয় পাহাড়ের ওপারের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানায়। একেক সময় সে একেক ধরণের কথা বলছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক রোষানল অথবা কোথাও কিশোরী হিসাবে কাজে থাকায় সেখানে চাপ কিংবা অন্য কোন কারণে ওই কিশোরী ভারতের শিলিগুড়ি থেকে দিন কয়েক পুর্বে মেঘালয় রাজ্যের শিলং হয়ে সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ঘোমাঘাট বড়ছড়ায় এসে পৌঁছার পর সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
 
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান, অপ্রাপ্ত বয়স্ক এ ভারতীয় কিশোরীকে নিয়ে থানা পুলিশ অনেকটা বিপাকে রয়েছে। আপাতত থানায় সাধারন ডায়েরী করে কিশোরীকে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে নিরাপওা হেফাজতে পাঠানো’হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত