নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ অক্টোবর, ২০১৭ ১৫:৫১

হরতাল ডেকে মাঠে নেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে চলছে জামায়াতে ইসলামীর ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। হরতাল ডেকে দলটির নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা না গেলেও রাজপথে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

যান চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। হরতালের প্রভাব নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। চলছে গণপরিবহন অন্য দিনের মতোই। জামায়াতের ডাকা হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় নগরীতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

হরতাল শুরুর পর থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোন পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। দেখা যায়নি জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতাকর্মীকে।

তবে হরতালের সমর্থনে নগরীতে কোথাও মিছিল অথবা পিকেটিংয়ের কোনো খবর না পাওয়া গেলেও নগরীতে হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিকে হরতালে নাশকতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট জিন্দাবাজার, রিকাবিবাজার, কোর্টপয়েন্ট, চৌহাট্টা, নয়াসড়ক, উপশহর, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট ছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান।

আগের হরতালগুলোতে দূরপাল্লার বাস চলাচল না করলেও আজকের হরতালে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস। এছাড়াও রেল চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে যাত্রী কিছুটা কম।

এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হরতালে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ, আর্মড পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাশকতা না হলেও সকাল থেকেই সতর্কাবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তবে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গোপনে বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে মকবুলসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর কদমতলী থানায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় আজ তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত দুই মামলায় পাঁচ দিন করে প্রত্যেকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এরই প্রতিবাদে আজ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত