নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ মে, ২০১৮ ২২:১৫

নগরীতে পানির বিল বকেয়া ১১ কোটি টাকা, অভিযানে সিসিক

সিলেট নগরে গ্রাহকদের কাছে পানির বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। বার বার নোটিশ প্রদান সত্বেও বিল পরিশোধ করছেন না আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের খেলাপি গ্রাহকরা। এছাড়া অবৈধভাবে সংযোগ নিয়েও অনেকে পানি তুলছেন। একই সাথে মেইন লাইন থেকে আলাদা মোটর বসিয়েও পানি তুলছেন অনেকে।

পানির অবৈধ সংযোগ ও বকেয়া বিলের বিরুদ্ধে এবার অভিযানে নামছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এর অংশ হিসেবে শনিবার নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবনে অভিযান চালান মেয়র আরিফ। এসময় তিনি অবৈধ সংযোগের প্রমাণও পান। জব্দ করে নিয়ে আসেন ৫টি মোটরও। কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে নগর ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, ‘কিছু অসাধু লোকের কারণে সাধারণ গ্রাহকরা পানি পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা অবৈধ সংযোগ দিয়ে পানি ঘরে তুলে নিচ্ছে। যা সিটি করপোরেশন জানে না। রাতের আঁধারে অসাধু চক্রের যোগসাজশে রাস্তা কেটে পাইপ লাইণে অবৈধ মোটর লাগিয়ে পনি নিয়ে যাচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির মাধ্যমে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।’

তিনি আরো জানান, নগরীতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সরকারি সব মিলিয়ে বৈধ সংযোগ রয়েছে সাড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি। এদের বেশির ভাগেরই পানির বিল বকেয়া রয়েছে। এর বাইরে কয়েক হাজার অবৈধ সংযোগ রয়েছে। তাদেরকে শেষ সুযোগ দিতে চাই। তারা যেন অবৈধ সুযোগ নিজেরা উদ্যোগ নিয়েই বৈধ করে নেন।’

তিনি আবাসিকে পানির বিল বকেয়া রয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা বিল পরিশোধ করলে ৩০শতাংশ বিল মওকুফ করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, এসময়ে মধ্যে বিল পরিশোধ করলে ৩০শতাংশ মওকুফ করা হবে। কেউ একধাপে দিতে না পারলে দুই ধাপে বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এসময়ে পরে কোন ছাড় দেয়া হবে না। সরাসরি অভিযান পরিচালনা করে লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘এছাড়া যারা অবৈধ সংযোগ নিয়েছেন তারাও সাতদিনের মধ্যে সংযোগ ফি পরিশোধ করে সিসিকের কাছ থেকে বৈধতা না নিলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া অবৈধ মোটর লাগিয়ে যারা পানি তুলছেন তাদের তিনদিনের মধ্যে মোটর সরিয়ে ফেলারও আহ্বান করেছেন তিনি।’

প্রেসব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন- সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এজেডএম নুরুল নুরুল হক, সচিব বদরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত