হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ জুন, ২০১৫ ১৮:২০

হবিগঞ্জে খুনের মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

হবিগঞ্জে মহিলাকে হত্যার মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীনের আদালত এ রায় দেন। এ মামলায় আরও ১৪ জনকে অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের আওড়া গ্রামের মোতাব্বির, সুলতান, আলী হায়দার ও গফুর। মামলার সাক্ষীগণকে মারপিট করে জখম করার অভিযোগে আসামী ফরিদ মিয়া, সোহাগ মিয়া, মালেক, দুলাল, ফুল মিয়া, কাইয়ুম ও রমিজ মিয়াকে ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড তাদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া আসামী সিতার, শহীদ, ওয়াহিদ, আহাদ, শফিক, তৈয়ব আলী ও নায়েব আলীকে ১ বছর কারাদন্ড ও তাদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাস কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৫ জন আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার আওড়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের হিসেবে ফুল মিয়ার বাড়িতে ২০১২ সালের ২ আগস্ট দিবাগত রাত ২টায় একদল লোক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় ফুল মিয়ার মা কুটিজান বিবিসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত কুটিজান বিবিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ আগস্ট তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে ফুল মিয়া বাদি হয়ে ওই বছরের ৮ আগস্ট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ৬৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। এক পর্যায়ে চা ল্যকর হিসেবে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না হওয়ায় তা পূনরায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা পর্যালোচনার পর বিচারক বুধবার এই রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক এবং আসামীপক্ষে মামলা পরিচলনা করেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত