মারূফ অমিত

১৭ মে, ২০১৮ ০০:০৭

ডাকাত আতঙ্কে ফেঞ্চুগঞ্জবাসী

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম কুলাউড়ার ভাটেরায় ঘিলাছড়া আশিঘর। রাতটি ছিলো মঙ্গলবার (১৫ মে), সময় আনুমানিক আড়াইটা হবে। সবাই তখন গভীর ঘুমে মগ্ন। হয়তো সেসময়েও কিছু মানুষ জেগে আছেন ফেইসবুকে। ঠিক তখনই ঘটে ডাকাত বিড়ম্বনা। হটাতই ফেইসবুক ফিডে ছড়িয়ে পড়লো ফেঞ্চুগঞ্জের পার্শ্ববর্তী কুলাউড়ার ভাটেরায় ঘিলাছড়া আশিঘরে ডাকাত ঢুকেছে!

সেই থেকে ডাকাত আতঙ্কে পুরো একটি নির্ঘুম রাত পার করে পুরো ফেঞ্চুগঞ্জবাসী। সে রাতে ডাকাত প্রতিরোধে পুরো রাত জেগে বাড়ি বাড়ি পাহারা দিয়েছেন উপজেলাবাসী।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় কুলাউড়ার ভাটেরায় ঘিলাছড়া আশিঘরের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের সাথে। এসময় তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, রাত আড়াইটার সময় হটাতই মানুষ ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করে। এতেকরে জেগে উঠেন বিভিন্ন এলাকাবাসী।

এরপর থেকেই আতংকে উৎকণ্ঠায় সবাই একে অপরের সাথে ফোন যোগাযোগ করেন। কয়েকটি গ্রামের লোকজন প্রস্তুত হয় পুলিশের সহযোগিতায় ডাকাত রুখতে।

তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে আরো বলেন, যখন মানুষের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে ঠিক এসময় চলে যায় বিদ্যুৎ। আর এতে জনমনে বেড়ে যায় আতঙ্কের পরিমাণ।

এদিকে এমন আতংক বিপদের সময় অকারণে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া মানতে পারেন নি কেউই। বিদ্যুতের কেউ ডাকাতদের পালাতে সাহায্য করছে বলে ফেইসবুক স্ট্যাটাস আসতে থাকে এসময়। এসব পোষ্টে পড়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য!

এসময় পল্লীবিদ্যুত কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন " লাইন চালু আছে, হয়তো কয়েকটা স্থানে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তিনি জরুরি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও জানান এসময়।

এদিকে স্থানীয়দের মতে, ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তার সংকট রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে জনবল সংকট।  এজন্য পুলিশের পাশাপাশি  ডাকাত প্রতিরোধে রাত জেগে বাড়ি বাড়ি পাহারা দিয়েছেন গ্রামবাসী।

ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ডাকাতি প্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গ্রামবাসীদের কাছে থানার ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাকাত ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশকে খবর জানাতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত