শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

২৭ মে, ২০১৮ ১৫:৩৮

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের দ্বৈত ভর্তি বাতিলের জরিমানা অতিরিক্ত করায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (২৭ মে) সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গলের চৌমুহনা চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যতম সমন্বয়ক ও মুখপাত্র শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বিথিকা রাণী সিনহা বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এই অতিরিক্ত জরিমানা আমাদের ওপর জুলুমের সামিল। আমাদের পক্ষে এতো টাকা জরিমানা বহন করা সম্ভব না। এই জরিমানা বহাল থাকলে আমাদের হয়তো পড়াশোনা ছেড়ে অকালে ঝড়ে পড়তে হবে। এই অতিরিক্ত জরিমানা বাদ দিয়ে ভর্তি বাতিল ফি বাবদ ৭০০ টাকা নিয়ে আমাদের পড়াশোনার পথ সুগম করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। জাতির উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম জরিমানার কারণে শিক্ষার্থীরা যদি পড়াশুনা থেকে ঝরে পরে তাহলে এই দায় নেবে কে?

মানববন্ধনে বক্তারা অতি দ্রুত এই জরিমানা বাতিল করতে শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি সীমান্ত পাল বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ধার্য করা এই জরিমানা অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে টাকার ব্যবস্থা করে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।

এদিকে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে এই কাজটা করেছে। শিক্ষার্থীদের কোন সুযোগ না দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শ্রীমঙ্গলসহ সারা দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি-বেসরকারি কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এর কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে আমি সমর্থন জানাই।

উল্লেখ্য, জরিমানা মওকুফের দাবি না মানলে শিক্ষার্থীরা অনশন বা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাবেন বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত