বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৪ জুন, ২০১৮ ২১:০০

বিশ্বনাথে মার্কেটের দখল নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

সিলেটের বিশ্বনাথের বাগিচা বাজারের হাজী আব্দুল করিম সুপার মার্কেট দখল নিয়ে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। মার্কেটে তালা দেওয়ায় ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এখন পড়েছেন মহাবিপাকে। এ ঘটনায় মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বাজার পরিচালনা কমিটি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে তারাও এখন মারমুখি অবস্থানে রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পুলিশি সহযোগিতায় মার্কেটে তালা দেওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (২৪ জুন) বিকেলে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা প্রতিবাদ সভা করেছেন।

শনিবার (২৩জুন) পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব-বিরোধের জেরে সরদার পাড়ার যুক্তরাজ্য প্রবাসী শায়েস্তা আহমেদের দখলে থাকা মার্কেটটি পাল্টা দখলে নেন তার বড়ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সায়েক। মার্কেট দখলের দু’দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত থানা পুলিশ নীরব রয়েছে। ফলে দুই ভাইর দু’পক্ষ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বাজার পরিচালনা কমিটি এ চারপক্ষ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাদের যেকোনো পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।

মার্কেটের ব্যবসায়ী মদিনা ভেরাইটিজ স্টোরের মালিক আলা উদ্দিন, মোদী দোকানী তেরা মিয়া, স্টুডিওর মালিক নিকিল বাবু ও আজির উদ্দিন জানান, তারা শায়েস্তা আহমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন থেকে দোকান ভাড়া দিয়ে আসছেন। দু’দিন ধরে মার্কেট বন্ধ করায় তাদের লাখ লাখ টাকার মালপত্র নষ্ট হচ্ছে।

শায়েস্তা পক্ষের আবু হোসেন ও আব্দুল মতিন বলেন, মৌখিক ভাগ-ভাটোয়ারায় ৩৬ লাখ টাকার বিনিময়ে শায়েস্তা আহমেদকে মার্কেটটি দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে ওই মার্কেটটি পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়ে দখলে নেন প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাম সায়েক।

এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম সায়েক ৩৬ লাখ টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-ভাটোয়ারা না হওয়ায় ৫ অংশের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। আর তারা ৫ ভাই ও ২ বোন ওই মার্কেসহ সকল সম্পত্তির অংশিদার হওয়ায় কেবলমাত্র নিজের এক অংশ পান শায়েস্তা। তাই শায়েস্তা আহমেদ ভাইবোন কাউকে অংশ দিতে না চাওয়ায় এবং একাই ভোগ দখল করায় তিনি ওই মার্কেটে তালা দিয়েছেন বলেও জানান।

তবে পুলিশি সহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেছেন মার্কেট দখলের জন্য নয়, মিথ্যা সংঘর্ষের খবর দিয়ে পুলিশকে সেখানে নেওয়া হয়েছিল, তাও ঘটনার ২/৩ঘন্টা পর।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত