নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জুলাই, ২০১৮ ০১:১৩

মধ্যরাতে হঠাৎ পুলিশ ফাঁড়িতে আরিফ

বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ করে নগরীর বন্দরবাজার পুৃলিশ ফাঁড়িতে হাজির হন সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনের সড়কে বসে পড়েন সাবেক এই মেয়র।

আরিফের অভিযোগ, বন্দরবাজার এলাকায় তাঁর নির্বাচনী পোস্টার লাগানোর সময় এককর্মীকে মারধর করে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে অপর মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মীরা। ওই কর্মীকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতেই পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেন আরিফ।

প্রায় ৪০ মিনিট পর পুলিশ নজরুল ইসলাম নামে ওই কর্মীকে ছেড়ে দিলে ফাঁড়ির সমানে থেকে উঠে আসেন আরিফ।

এসময় আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসুরু, জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদসহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার রাতে বন্দরবাজার এলাকায় আমার নির্বাচনী পোস্টার সাটাচ্ছিলো নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মী। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন সমর্থক তাদের মারধর করে নজরুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার বিচার দাবিতে ও আমার কর্মীকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে আমি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেই।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছেন, আমার কর্মীই নাকি তাঁর (কামরানের) পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফেোর ডটকমকে বলেন, বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগে কয়েকজ একযুবক একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে আরিফুল হক এসে ওই ব্যক্তিকে তাঁর কর্মী দাবি করলে ও পোস্টার ছেঁড়ার কথা অস্বীকার করলে আমরা তাকে ছেঁড়ে দেই।

এ ব্যাপারে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত