সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ আগস্ট, ২০১৮ ২০:৫১

রাজু হত্যা: রকিব ও দিনারকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার দাবি

ছাত্রদলের রাজু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রকিব ও দিনারদের দল থেকে বহিষ্কার, খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে রাজুর সহযোদ্ধা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। খুনের এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের গ্রেপ্তার না হওয়ায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

রোববার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজু হত্যাকারীদের দল থেকে বহিস্কার ও বিচার দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল আজাদ রানা।

সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিকে রক্ষা করতেই রাজুকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজু হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নমনীয় আচরণ করলে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। সিলেট ছাত্রদলের গৌরবময় ইতিহাসকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এরকম সন্ত্রাসীদেরকে সংগঠন থেকে বের করে দেওয়া একান্ত জরুরী।

তাদের অভিযোগ, গত ১১ আগস্ট নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় আব্দুল রকিব চৌধুরী ও হাজী দিলোয়ার হোসেন দিনার এর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজু। এ সময় সন্ত্রাসী হামলা আহত হয়েছেন জাকির হোসেন উজ্জল ও সালাউদ্দিন লিটন। জাকির হোসেন উজ্জলের অবস্থা এখনও আশংকাজনক ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খুনের এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বদরুল আজাদ রানা বলেন, ১৩ জুন সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। নবগঠিত কমিটিকে ভারসাম্যহীন আখ্যায়িত করে কমিটি বাতিলের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছিলাম। আমরা কমিটি বাতিলের দাবিতে মিছিল-মিটিং, স্মারক লিপি, সংবাদ সম্মেলন করেছি।

কমিটি বিরোধী আন্দোলনে থাকাবস্থায় সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির খছরু মাহমুদ চৌধুরী ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে আমাদের সাথে আলোচনা করে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, সিসিক নির্বাচনের পরপর কমিটির বিষয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। নেতৃবৃন্দের কথায় আশ্বস্ত হয়ে কমিটি বিরোধী আন্দোলন স্থগিত করে সিসিক নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে সক্রিয়ভাবে দিন-রাত পরিশ্রম করে বিজয় নিশ্চিত করেছি যা আপনারা ও সিলেট বিএনপির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ অবগত রয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিজয় মিছিলের সাথে সাথে আমাদের কাঁধে দেওয়া হল আমাদের সহকর্মী রাজুর লাশ। অথচ এই রাজু স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি রুখতে সকাল ৭টা থেকে অতন্দ্র প্রহরী ন্যায় দায়িত্ব পালন করেছিল।

তিনি বলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে, অনতিবিলম্বে এজাহার নামিয় খুনিদের সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদবী থেকে অব্যাহতি দিয়ে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। খুনিদের হাতে কোন সংগঠন নিরাপদ নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, (পদত্যাগী), জেলা সহ সভাপতি মাশরুর রাসেল (পদত্যাগী), মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি সুহেল রানা (পদত্যাগী), জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুহেল ইবনে রাজা (পদত্যাগী), জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু (পদত্যাগী) , মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শাকিলুর রহমান শাকিল (পদত্যাগী), মহানগর ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, পদাবঞ্চিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন রুবেল, সাবেক জেলা সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হোসেন হিমেল, সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক কামরান আহমদ, আব্দুল আহাদ সুমন, রাহাত আহমদ টিপু, সেলিম মিয়া, এনামুল হক জুম্মন, রুবেল আহমদ রানা, মিছবাউল আম্বিয়া, এমসি কলেজ ছাত্রদলে সদস্য সচিব দেলওয়ার হোসেন, ল-কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আবু ইয়ামিন চৌধুরী, মইনুল ইসলাম, জেলা সদস্য মিজানুর রহমান, এ ইউ রানা শাহ, শাহাজান আহমদ, রাসেল আহমদ, আজমাল হোসেন অপু, মিজান আহমদ চৌধুরী, রাহেল আহমদ চৌধুরী, ইমাম মো. জহির প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত