জামালগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:১৬

জামালগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জামালগঞ্জ উপজেলা শাখার মেয়াদোত্তীর্ণের প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় পুরাতন কমিটির সকল প্রকার প্রতিনিধিত্ব স্থগিত চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন শিক্ষকগণ।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) ২৩২ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত আবেদন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দেওয়া হয়।

আবেদনে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ জুন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জামালগঞ্জ উপজেলা শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ছিল তিন বছর। অথচ অদ্যাবধি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর অতিক্রম হলেও সমিতির নতুন করে কমিটি গঠনের করা হয়নি। পুরাতন কমিটি দিয়েই সমিতির সকল কার্যক্রম চলে আসছে।

মাসিক সমন্বয় সভাসহ বিভিন্ন সময়ে নতুন কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রস্তাব করলেও সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি তা অগ্রাহ্য করে আসছেন। যেখানে সমিতির শুরু থেকে অদ্যাবধি আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব দিচ্ছেন না এবং সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমও অদৃশ্য। এতে করে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এতে যে কোন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা করছেন আবেদনকারী শিক্ষকরা। তাই সমিতির নতুন কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সমন্বয় সভাসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমে মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটির প্রতিনিধিত্ব স্থগিত করার দাবি জানানো হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত এ সংক্রান্ত আবেদনে দুই শতাধিক শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।

আবেদনে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের মধ্যে আব্দুল গফফার তালুকদার, অতুল চন্দ্র তালুকদার, কৃষ্ণকান্ত পুরকায়স্থ, নিসেন্দু গোস্বামী, শমসের আলী, আবুল লেইচ, জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি অনৈতিকভাবে দায়িত্ব আঁকড়ে ধরে আছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে উপজেলা শাখার নতুন কমিটি নির্বাচনের নির্দেশনা এলেও এ ব্যাপারে কোন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। তাই আমরা কমিটির সদস্যরা বাধ্য হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি যেন দাপ্তরিক সকল কাজে এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির প্রতিনিধিত্ব স্থগিত করা হয়। আমরা অবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিক্ষকদের একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। কিন্তু তাদের সমিতির ব্যাপারে আমার কোন এখতিয়ার নেই। তাই আমি কোন ভূমিকা বা ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে তারা যেহেতু আবেদন করেছেন আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের একটা পরিবেশ করার চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত