হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৮:৫৫

কমিউনিটি ক্লিনিকে গর্ভকালীন সেবা বৃদ্ধির নির্দেশ স্পিকারের

সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে মায়েদের গর্ভকালীন সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদারের করার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার হিলালপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।

এ সময় স্পীকার বলেন, সরকার মাতৃত্বকালীন সময়ে মা ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন উপহার সামগ্রীসহ নানা সহায়তা প্রদান করে থাকে। উপকারভোগীদের হাতে যাতে সঠিকভাবে এই সকল জিনিসপত্র পৌঁছে যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১২ সহশ্রাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। যে কারণে কমে এসেছে মাতৃ এবং শিশুমৃত্যুর হার। সরকারের মহৎ এই উদ্যোগকে সফল করতে হলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধায়নের মাধ্যমে উপকারভোগীদের সেবা প্রদান করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকে অবস্থা পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যেই আমি এখানে এসেছি।

এ সময় তিনি ক্লিনিকে উপকারভোগীদের উপস্থিতি এবং সেবার প্রসংশা করেন এবং বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের বাহুবলে দ্য প্যালেস রিসোর্টে জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রোল অপ এমপিস ইন মনিটরিং এন্ড ইমপ্লিমেন্টিং এসডিজিস’ বিষয়ক কর্মশালায় যোগদান করেন তিনি। এরপর শনিবার কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সেবার মান পরিদর্শনের লক্ষ্যে তিনি বাহুবলের হিলালপুরে যান।

পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বলেন স্পীকার শিরিন শারমীন চৌধুরী। এ সময় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, আওয়ামী লীগ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থোকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

অন্যান্যের মাঝে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি,  আবু জাহির এমপি,
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি, এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডাঃ সুচীন্ত চৌধুরী, হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ সফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল, বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তারা মিয়াসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সিভিল সার্জন স্পীকারকে জানান, বাহুবল উপজেলায় ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মাঝে ১৪ ক্লিনিকেই দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। যে কারণে নারীরা এসে চিকিৎসা নিতে সংকোচবোধ করেন না। এতে করে বাহুবলের মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত