সুজিত দাস

১০ জুলাই, ২০১৫ ১৪:৪৫

দুয়ারে ঈদ, ক্রেতারা শপিং মলে

সিলেটের একটি ফ্যাশন হাউসে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। ঈদ মানেই নতুন কাপড়। হাল ফ্যাশনের পোষকে নিজেকে সাজিয়ে তোলা। তাইতো ঈদ যত ঘনিয়ে আসচৈ তত বিপণিবিতান-ফ্যাশন হাউসগুলোতে বাড়ছে ভীড়। জমে ওঠেছে ঈদের বাজার।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের আগমনে মুখরিত নগরীর প্রতিটা শপিং-মহল ও বিপণিবিতানগুলো। ছোট বড় সব বয়সের মানুষের আনাগোণা চোখে পড়ার মতোই।

সিলেট নগরীর বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা যায়, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার কেনাকাটায় ক্রেতা সমাগম অনেক বেশি। আর যার অধিকাংশই আসছেন সিলেট শহরের আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে। সকলেই খোঁজে নিচ্ছেন নিজের পছন্দের পোষাক।

এই বছর ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে মোদি কটি, কিরণমালা ড্রেস, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবী। তবে শাড়ি ও লেহেঙ্গার চাহিদাও রয়েছে আগের মতোই।

নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, লামাবাজার ও নয়াসড়কের অভিজাত বিপণিবিতান আর ফ্যাশন হাউসগুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটা দোকানের ব্যবসায়ীরা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছেন। প্রতিটি দোকানেই রয়েছে ক্রেতাদের ভীড়।

পছন্দের কথা জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের পাগলা থেকে আসা ক্রেতা আবুজাফর জয় বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই বছর পাঞ্জাবী ও মোদি কটি কিনছি। খুব ভালই লাগছে।

অন্যদিকে এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে সপরিবারে আসা আতিউর রহমান বলেন, বাবা-মা'র জন্য শাড়ি পাঞ্জাবী কিনেছি কিন্তু বোনদের চাহিদা আলাদা। তারা সবাই 'কিরণমালা ড্রেস' কিনতে আগ্রহী। যা নিজের কাছে অপসংস্কৃতি বলে মনে হয়। গত ঈদে একই ভাবে 'পাখি ড্রেস' নিয়ে অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। কিছু করার নাই যার যেমন পছন্দ।

পাঞ্জাবী ব্যবসায়ী মাছুম আহমদ বলেন, এই বছর সিলেটে পাঞ্জাবীর চাহিদা অনেক বেশী। ছোট বড় সবাই কম বেশি পাঞ্জাবী কিনছে। দামের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, দাম সবার সাধ্যের মধ্যেই আছে।

ব্যবসায়ী সেতু দাশ বলেন, এই ঈদের ব্যবসা অন্য সব ঈদের চেয়ে অনেক ভাল হচ্ছে। আর সব ক্রেতাই নিজের পছন্দের জিনিষটি হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছেন। তবে কিছু কাপড় আমাদের  আমদানি করতে হচ্ছে। মোদি কটির চাহিদা রয়েছে সর্বাধিক। আবার মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে 'কিরণমালা ড্রেস'। কিরণমালা ভারতীয় একটি টিভি সিরিয়ালের নাম, যার নামের কাপড়টি খুব বেশি চলছে। তবে এই ঈদে কমে গেছে শাড়ি ও লেহেঙ্গার চাহিদা।

এদিকে, কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি ভীড় জমতে দেখা গেছে জুতার দোকানেও। সেখানেও চলছে জমজমাট ব্যবসা; প্রতিটা দোকানেই ক্রেতা বিক্রেতার ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত