সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৩২

বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী বিবেচনা করে ভারত: এল. কৃষ্ণমূর্তি

সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের মতবিনিময়

সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার এল. কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে ভারত। ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশ তথা সিলেটের সাথে একসাথে কাজ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ করা হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও চিকিৎসার জন্য এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্প সময়ে ও সহজে ভিসা পেতে পারেন সে বিষয়টি বিবেচনা করে সিলেটে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের অফিস স্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট অঞ্চল ঐতিহ্যগতভাবে সমৃদ্ধশালী উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে সিলেটীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানির প্রসারও ঘটছে এসব অঞ্চলে। তামাবিল সীমান্ত সহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পন্য রপ্তানীতে সিলেটের ব্যবসায়ীরা যাতে কোন ধরণের হয়রানি এবং দূর্ভোগের শিকার না হন সে বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

সহকারী হাই কমিশনার সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করে ব্যবসায়ীরা যাতে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারেন সে বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে তত্ত্বাবধানের আশ্বাস দেন।

সিলেট চেম্বারের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ সিলেটে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন স্থাপন করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেট শহরের উন্নয়নে ভারত সরকার ২২ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশের মোট কয়লার চাহিদার ৮০ ভাগই আমদানী হয়ে থাকে উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি আরো বলেন- এজন্য সিলেটের আমদানীকারকদের প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করতে হয়। এসব আমদানীকারকদের জন্য ৫ বছর মেয়াদী মাল্টিপল ভিসা ইস্যুর অনুরোধ জানান তিনি।

কয়লা আমদানীতে আমদানীকারক বিভিন্ন রকম প্যারা ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন জানিয়ে তিনি এসব বাঁধা দূরীকরণের সহকারী হাই কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেন। সুতারকান্দি এলসি স্টেশনে কালি দিয়ে হাতের ছাপ গ্রহণের বদলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করে তিনি সিলেটে নির্মাণাধীন স্পেশাল ইকোনমকি জোন ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি গিরিশ পুজারী, সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক জিয়াউল হক, পিন্টু চক্রবর্তী, মো. ওয়াহিদুজ্জামান (ভূট্টো), মুশফিক জায়গীরদার, আমিরুজ্জামান চৌধুরী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, হুমায়ুন আহমেদ, মো. আতিক হোসেন, মুজিবুর রহমান মিন্টু প্রমুখ। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত