হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

০৫ নভেম্বর, ২০১৮ ২১:২৭

যুুদ্ধাপরাধী লিয়াকতের ফাঁসি: রায়ে খুশি, পলাতক থাকায় ক্ষোভ

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন লিয়াকত আলীর নিজ এলাকা লাখাইয়ের জনগণ। তবে আসামী এখনও পলাতক থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। দ্রুত লিয়াতককে গ্রেপ্তার করে দণ্ড কার্যকরের দাবি তাদের।

সোমবার এ রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ। রায়ে লিয়াকত ছাড়াও আরেক যুদ্ধাপরাধী কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামেরও ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি পলাতক এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ফাঁসির দণ্ডাদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও আসামী পলাতক থাকায় খুশি নন এলাকাবাসী। তাদের দাবী এই সরকারে অন্যতম নির্বাচনী ওয়াদা ছিলো একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা। এই পর্যন্ত প্রায় সকল শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে, অনেকের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজাকার লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। কিন্তু সে এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।

লাখাইয়ের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা অমরেন্দ্র রায় বলেন- ‘লিয়াকতসহ দুই রাজাকারের ফাঁসি হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। কিন্তু তারা দুজনেই পলাতক থাকায় সেই খুশি অনেকটাই অম্লান। তাই দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী হরি দাশ রায় বলেন, ‘রাজাকার আলবদরের সহযোগিতায় লিয়াকত ১২৭ জনকে হত্যা করেছে। সরকার সুযোগ তৈরি করেছে বলেই আমি মামলা করেছি। আমরা বিচারে খুশি কিন্তু সে এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় অনেকটাই হতাশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত